শীতল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

কবিতার পান্ডুলিপিতে
বিকেল নামছে –
একতলার ছোট ছাদের চারিদিক খোলায় ৷
চোখ মেললেই ওপরের প্রশান্ত নীল ,
মেঘ স্তুপে গাছেদের সবুজ মাথারা ৷
ঠিকানায় ফেরার গোধূলি মাখা
উড়ন্ত বকের বক্র রেখা ৷
হেমন্ত বৈকালিকের হাওয়ায় –
অশ্বত্থের স্বরলিপি শোনা যায় ৷
আসন্ন সন্ধ্যায় –
নালার ধারের ঝোপ থেকে
ডাহুকের – ডাহুকিনীকে ডেকে নেওয়ার শব্দ আসে ,
ডোবার কচুরি পানারা অস্পষ্ট হয়
সন্ধেটা স্পষ্ট হয় যত ,
নির্জনতায় গাছেদের হলুদ পাতারা খসছে
কবিতার পান্ডুলিপিতে ৷
তৃতীয় নয়ন
নয়নে জুড়ে রেখেছি
পড়ে থাকা তৃতীয় নয়ন তোর ৷
তোর বক্ষস্থলের স্পন্দন কথা
আমার বুক কথায় উচ্চারিত হয় নীরবে ৷
শব্দহীন দুপুরে –
ফিরে-ফিরে আসার দোল , রথের মেলা
একান্তের স্পষ্ট ছায়ায় ৷
বিচ্ছিন্ন হওয়ার চলমানতাকে লুকিয়ে
তোর জোনাকী হওয়ার আলোর মাঝে ছুটে বেড়াই
রাতের প্রান্ত পর্যন্ত ৷
তখনও , অসমাপ্ত থেকে যায়
তোর খোলা দ্বারে পৌঁছুতে !
দাঁড়িয়ে থাকি ,
সংগে তোর তৃতীয় নয়ন ৷
ঠিকানা :- জগদ্দল , উত্তর ২৪ পরগণা
ভারতবর্ষ
নিবেদিত ছিল
সর্ষে ফুলের পাশ দিয়ে যেতে- যেতেও
দেখা হয়নি সর্ষে ফুল ,
বোরোধান রোয়ার শিল্প কর্মের পাশ দিয়ে যেতেও
ধান চারায় – ধানের স্বপ্ন সঞ্চার করানো দেখা হয়নি ,
দেখা হয়নি ফাঁকা ডালে কচি পাতা জাগানোর
বসন্ত ইশারা ৷
ভোরের সূর্য , পাখির প্রভাতী উড়ান ,
তারাদের ঠোঁট নাড়া ,
বৈরাগ্য রূপে চাঁদ হাঁটা
দেখা হয়নি তাও ,
দেখা নিবেদিত ছিল
সবেই তোমাকে দেখতে ৷