সুবীর সরকারের কবিতা

সুবীর সরকারের কবিতা

স্মৃতি

আমি মৃত্যুর আগে একটু জোনাকী দেখতে
চেয়েছিলাম
জলের সামনে দাঁড়িয়ে
জলস্রোত লিখতে চেয়েছিলাম
আস্তিন গুটিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসছে
মৃত্যু
কাদার উপর দিয়ে হাঁটছি
ছুঁড়ে দিচ্ছি পুতুলের বাক্স
আমার কোনো বান্ধবী নেই
বান্ধবীদের হাতব্যাগ থেকে কোনোদিন চকলেট
পাইনি আমি
আমি কিন্তু মেয়েদের শোনাতে চেয়েছিলাম
রক্তপাতের কথা
যুদ্ধ ও বল্লমের কথা
কামানের পাশে হেঁটে যাওয়া নির্জনতার
কথা
তোমার নাম লিখে আকাশে উড়িয়ে দেব
বেলুন
চড়কের মেলা থেকে নিয়ে আসবো ভাঙা
আয়না
আত্মহত্যার আগে তোমার সাথে আর দেখা
হবে না
আত্মহত্যার পরেও দেখা হবে না আমাদের
শহরে গান বাজবে
উড়ে যাবে বসন্ত কোকিল
খরা ও বন্যার স্মৃতিতে খুব দুলে উঠবে
তুমি

সম্পর্ক

ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের নাম তাঁবু দিলাম
পানপাত্র কেটে লিখলাম মাটির কলস
ব্যাক্তিগত পরিসরে এখন খাটো হয়ে আসা
মোমবাতি
পাখির ডাকে শুশ্রুষা থাকে।
আর ওষুধ নিরিবিলি করে
দে য়।
সারা গায়ে ঘামাচি মেখে দূরের পাহাড়ে বেড়াতে
যাবো
সেই কবে মরে যাওয়া দিদিকে খুঁজবো।
গুহার মধ্যে লুডু খেলছে বাচ্চা লামা
বৃষ্টি আসার আগে এখানে বেলুন ওড়ে
সারারাত বন্দুকযুদ্ধ শেষে সৈনিকের কান্নার
শব্দ
সম্পর্ক ট্রাপিজের খেলা।
কলাবাগানে ঘুরে মরা একাকী
বেড়াল।

বিবৃতি

আত্মহত্যা আসলে একটি বিদেশী শব্দ।
সুতরাং আত্মহত্যা করতে গেলে ধরে রাখতে
হবে চোখের জল
আমি জ লা ধা রে ছেড়ে দেব ব্যাঙ ও ব্যাঙাচি
তারপর নদী ও নদীনালা।
তারপর গোপন স্লুইস গেট।
আমাকে ক্ষমা করুন,আমি দ্রুতগামী হতে
পারছি না
এই তো,ওল্টানো নৌকোয় কেক,প্যস্ট্রি

কীটনাশক
আর ধান খেয়ে পালিয়ে যাওয়া পাখিরা