কুমকুম বৈদ্য’র কবিতা

কুমকুম বৈদ্য’র কবিতা

আমি নিরক্ষর

আমি নিরক্ষর
আমার দুপুরেরা শব, লাল জামা গায়ে দিয়ে
ধীর পথে এগিয়ে যাচ্ছে চুল্লি র দিকে
কারণ কোনো পাঠশালা পাঠাই নি জ্বলন্ত আগুন
এখনো হইনি আমি পোড়া চারকোল
যা দিয়ে গুহার গায়ে আঁকা যেত শিলালিপি ইতিহাস
সব দুপুরের ছাই জমা হয়ে পাহাড়
তার মধ্যে কেউ ফেলে দিল
সেলাই এর সূচ
এই গনগনে সূচ দিয়ে লিখে দেব ব্রেল
যখন দেশের আশি ভাগ মানুষ
আসলে তৃতীয় শ্রেণী, ফেল

চলে যাব ময়নাদ্বীপ

তারপর সব জমা অভিমান জড়ো হলে কাজল কালো দীঘির কোলে
আমি ও চোখ থুইলাম বকুলের বুকে
একটা গোটা শহর অথবা গোটা একটা দেশ দাঙ্গা বিধ্বস্ত
আমরা ভিন্ন ভিন্ন মোমবাতি মিছিলে সামিল মূক
অন্ধ কানাই ছুটে চলে দিকভ্রান্ত নাবিকের মত উপকূলবর্তী কোনো শহরের হ্রদে
সব ধর্ম কৃষ্ণচূড়া হতে চেয়ে এখন লতানো পাথর কুঁচি
কল্পনার জলজ লিলি বুক পেতে শুয়ে থাকে কবিতার বুকে
আর সব মৌমাছি ভ্রমরের কানাকানি শালুকের নিঃশ্বাসে
তুমি আমি ঠিক চলে যাব হোসেন মিঁয়ার ময়নাদ্বীপ,আমার কাজল লতার দিব্বি

আমাদের বিচ্ছেদের দিন

চোখে কি চিক চিক করছে বলতো?
তুই তাকালি বুঝি?
আমি তো দিঘি দেখলাম-
দেখ কালকে রাতের বৃষ্টির জলে কচু পাতা টা কেমন স্ফটিক গেঁথেছে দীঘির পাড়ে-
কদিন ধরে আইলাইনারের শিশি টা কোথায় যে উধাও হল-
কাজল ছাড়া মানায় বল এই চোখ?
ওই দেখ আবার বৃষ্টি নামল-
আঁজলা ভরে এনে দে না প্লিজ এক মুঠো আয়না;
তার থেকে আমার চোখে চোখ রাখলে ই পারিস
ধুস ! ওখানে তো আবার চশমার নিচে জলের উত্তল লেন্স-