শাহ্ নাজ পারভীনের কবিতা

শাহ্ নাজ পারভীনের কবিতা

স্বপ্নবাজি

আমরা যারা পাতার ফাঁকে রৌদ্র খুঁজি
মাথার ওপর আকাশটাকে স্বাধীন বুঝি
তারাও জেনো, হতেই পারি অগ্নিগিরি
আলোর খোঁজে নিত্য ভাঙি হাজার সিঁড়ি
আমরা যারা পথের ধুলোয় জীবন আঁকি
বুকের মাঝে আগুনটাকে যত্নে রাখি
তারাও জেনো, কষ্ট লুকোই হাসির তোড়ে
কান্না ভুলে সূর্য দেখি নতুন ভোরে
আমরা যারা দুঃখ কিনি ভালোবেসে
হৃদয় খুঁড়ে রক্ততিলক আঁকছি হেসে
চাইছি ভীষণ সময়টাকে পালটে দেবো
রথেরচাকা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নেবো
সেই আশাতেই দিনেরশেষে রাত্রি গুনি
আমরা শুধুই স্বপ্নবাজির স্বপ্ন বুনি !

মায়ালোক

কে আর যেতে চায় বলো!
তবুও অসীমের ডাক আসে
মেঘের ওপার থেকে
চলে যেতে হয় তড়িঘড়ি
সব খেলা ফেলে,

জীবন তো এক বহতা নদীর নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে !

যদিও মন পড়েই থাকে এই
পৃথিবীর মায়ালোকে
শুধু নশ্বর দেহটাই জৈব সার হয়
প্রকৃতিকে উর্বর করে,
আবার নতুন করে সাজাবে বলে!

মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত
দেখে যাচ্ছি
পিলপিল করে দলে দলে শ্বেত
পিঁপড়ার মতো ওরা নেমে যাচ্ছে
কোন এক অজানা গুহার ঢালে

ওরা আর পেছনে ফিরে তাকায় না
ফিরে আসে না, আসতে পারে না !
তাদের মায়া ভরা কান্না বাতাসে
ভেসে বেড়ায়,

অনেক দিন ভেবেছি একটা কফিন
কিনবো , সেখানে ঢুকে ওই সুড়ঙ্গের
রাস্তাটা খুঁজবো,
কফিন হয়তোবা কেনা যাবে, তবে
একবার ঢুকলে ওরা কফিনে পেরেক
ঠুকে দেবে জানি,

বেরিয়ে আসার আর সুযোগ থাকবে না!
নিয়তির সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম
করা যায় না,
শুধু মগজে সংঘর্ষ হয় বোধের সাথে
তবুও পৃথিবীতে তিথি গুনে আবারও
জোয়ার আসে নিয়মের বলে,

জীবন তো এক বহতা নদী নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে !

দোলাচল

ক্ষয়ে যাওয়া স্বপ্নের মতো বিবর্ণ কংক্রিটের
এই শহর,
যেটুকু প্রাণের স্পন্দন মেলে সেটুকুই যেনো সুখ,
পথের ধুলোয় কুড়িয়ে পাওয়া অমূল্য সেই
আধুলির মতো
যে সবুজ ছুঁয়ে বধির অরণ্যদের মাঝেও চলে-
পাতায় পাতায় নির্ঘুম সরলিপি আয়োজন
যে সুর নিশুতি রাতে হ্যামিলনের বাঁশির মতো
মোহময় আবেশ ছড়ায়
ভাবনার আকাশে তখন রঙধনু,বর্ণিল ইন্দ্রজালে
মখমলি কারুকাজ
প্রতিনিয়ত বিধ্বস্ত মন দোলাচলে দোলে
নীল সরোবরে লীন হবার দুর্বার আকর্ষণ
অত:পর –
আরক্তিম আবেগে রাতের অধরে গভীর চুম্বন
আঁকে বিমূর্ত সেই ক্ষণ
হয়ত কবিতার আবেদনও জোছনা প্লাবনে ভেসে যায় তখন !

মায়ালোক

কে আর যেতে চায় বলো!
তবুও অসীমের ডাক আসে
মেঘের ওপার থেকে
চলে যেতে হয় তড়িঘড়ি
সব খেলা ফেলে,

জীবন তো এক বহতা নদীর নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে !

যদিও মন পড়েই থাকে এই
পৃথিবীর মায়ালোকে
শুধু নশ্বর দেহটাই জৈব সার হয়
প্রকৃতিকে উর্বর করে,
আবার নতুন করে সাজাবে বলে!

মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত
দেখে যাচ্ছি
পিলপিল করে দলে দলে শ্বেত
পিঁপড়ার মতো ওরা নেমে যাচ্ছে
কোন এক অজানা গুহার ঢালে

ওরা আর পেছনে ফিরে তাকায় না
ফিরে আসে না, আসতে পারে না !
তাদের মায়া ভরা কান্না বাতাসে
ভেসে বেড়ায়,

অনেক দিন ভেবেছি একটা কফিন
কিনবো , সেখানে ঢুকে ওই সুড়ঙ্গের
রাস্তাটা খুঁজবো,
কফিন হয়তোবা কেনা যাবে, তবে
একবার ঢুকলে ওরা কফিনে পেরেক
ঠুকে দেবে জানি,

বেরিয়ে আসার আর সুযোগ থাকবে না!
নিয়তির সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম
করা যায় না,
শুধু মগজে সংঘর্ষ হয় বোধের সাথে
তবুও পৃথিবীতে তিথি গুনে আবারও
জোয়ার আসে নিয়মের বলে,

জীবন তো এক বহতা নদী নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে !