ব্রতী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ব্রতী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

এক অপরূপ দগদগে ঘা


দিন শেষ হয়ে যাবে, রাত্রিও
রাত্রিও শেষ হয়ে যাবে
হায়!
না পাখি, না ভৈরবী


তুলনীয় নও
অশ্রুঝরনকথা
পড়ে নেয় নিরেট পাথরও
জনশ্রুতি উড়িয়ে দেয়া যায় না


বাসনা, শূন্যের, ক্লান্তিরেখা নেই,
অনির্বাণ খিদে
তেমনটি নই, মনোরমা, হতেও পারব না


যায় নি, লুকোনো, শূন্যও হাতের মুঠোয়
কবে রাখতে দিলে, ঘরদুয়ার, যা শুধু নিজের?
আকাশকে জিজ্ঞেস করো


লেগে থাক চুম্বনের রেণু, ঠোঁটে ঠোঁটে,
অনির্বচনীয়
থাক জেগে গনগনে আঁচ, কস্তুরীর,
ভুবনডাঙায়


বন্ধ হয়ে যায়, সবকটি বোতাম, বুকের,
সামনে এলেই
দেখাব না, কিছুতেই, অবিমৃষ্যকারী দিন,
অপরূপ দগদগে ঘা

স্পর্শমণিমুহূর্তের পথ চেয়ে চেয়ে


ছুঁড়ে দাও ফোটনের রেণু,�অনন্ত সবুজের কেউ মুখ গুঁজে কোথাও
অপেক্ষার ব্রত


ব্রতের নিয়ম নেই, কালরাত যদিও,
করতলে মুখ, জানলার বাইরে পুরনো বৃষ্টিরা
অন্ধকারও স্নানপাগল, দিব্য


স্নান সারে এখনও সতের,
তুমি আছো
শিশ্নম্যাজিক নিয়ে কথা নেই
নীলসুন্দর শিখা, আগুনের, স্বপ্নসমান


সমান আর সম্মান তুলাদণ্ডে রাখি�বারবার, সামনেই, �ভালোবাসি মনে এলেই দুলে ওঠে ঢেউঢেউ ভয়


ভয় নেই, সত্যিই, এখনও
খিদেকাতর, বিষণ্ণও, �স্পর্শমণি মুহূর্তের পথ চেয়ে চেয়ে


চেয়ে চেয়ে ভালোবাসা, অন্য কিছু না
ফোটনের রেণুগুলি জানে�অঙ্গে অঙ্গে কী রঙ্গেই, হায়,�অপেক্ষার ব্রত, হ্যাঁ বলো না বলো, তুমিও

হয়রান হয়ে যাই আমি


দাঁড়িও না, জানালায়, একা
বকুলের রাত্রি, কামনাকাতর,
পথে বেড়িয়েছে


বৃষ্টি, জোছনা ভিজিয়ে
আমায় স্পর্শ করে,
চুল শুকিয়ে নেয়


ঘুমোও নি?
আমিও।
হায়!হায়! পৃথিবীও, সূর্যপ্রদক্ষিণব্রতী, সঙ্গে রয়েছে
হয়রান হয়ে যাই আমি


এই তীর্থে ফিরে ফিরে আসি
ওষ্ঠ-অধর, পুরনো মদের মতো,
নীল আলো সুড়ঙ্গে নাচছে
অবগাহন শেষ হতে চায় না,
পাপ ধুয়ে যায়


কষ্ট পাও, আমি যেমন পাই
না দেখতে পেয়ে?
পাওয়ার নেই তবে কিছু আর,
চাওয়ার কিছু আর নেই