নাসির ওয়াদেনের কবিতা

নাসির ওয়াদেনের কবিতা

এইটুকু আলো-আঁধারে

অনুরোধ উপেক্ষা করে হাঁটি
আঁধারে দীপ জ্বেলে শুঁই
শান্তি এসে বলেছিলো,
‘তুমি নাকি অশান্তির গোড়া ‘

মৃত্যু দিয়ে শোক ঢেকে রাখি
সমান্তরাল জলে নদী থাকে ঝুঁকে
অস্থাবর শিহরণ রেখে
যেন সত্যের সন্ধানে শুধু ঘোরা।

বিরহ

নিরাপদ দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে
শঙ্খের ডাক শোনো, ভগ্ন শাঁখ
সিঁদুরের লালরেখা ঘিরে
যে উত্তাপ ছিল, বৃত্তেই ঘুরপাক

এত আলো, এত অন্ধকার
জেনে তবু বিশ্বাসের উঠোনে
হেসে নেচে রয়েছে বাতাস
মাধবীলতা, এসো ফুটে ওঠা দুরন্ত বিহনে

ফুল ঝরে গেছে, চুল গেছে ছিঁড়ে
রক্ত ধুয়ে মুছে একাকিনী ভাসমান নীরে

অজানা এক আদেশনামা

পথ ভুল করে এসেছে প্রলয় মহা
নাম ছিল রাত ছিল কুসুমিত ডালে

অতিথি এসেছে ঘরে, নতুন
অরণ্য জেনেছে এক আদেশনামা

উঠ বোস করে করে দুহাতের রেখা
সরীসৃপের ধাঁচে আয়ুরেখা হাঁটে

অজানা শোকের সন্দেশ এনে সাথে
বিলিয়েছি বাউণ্ডুলে প্রভাতী প্রাসাদ

কতিপয় চোখ, বিস্ময়ের ছায়া

মুহূর্তে মুহূর্তে বিশ্বাসের ঝুল-বারান্দা ঘিরে
চুপচাপ হেঁটে যাই আমি, বিচ্ছেদের ভেতর
জীবনকে হাঁটতে দেখেছি, সাধ্বী
কঠিনকে সইতে দেখেছি, শ্বাশত
মাথার উপরে অবিশ্বাস্য মুহূর্ত
চোখে চোখে ঘোর লাগা, গভীর জীবন ।

দুধজল হেসে ওঠে, রোদ্দুর মাখা ঘ্রাণ
অরণ্যের ছায়া ঘিরে শুধুই বিস্ময়
ঘুম দিও ভাঙা জানালার মজা শিকে
বারান্দায় নীচে জল, বিস্ময়ের ছায়া ।

স্বাদে বিস্বাদের চুমো

ধ্রুবতারা বলেছিলো, মায়াবী পৃথিবী দুটো
হিংসা দিয়ে ভাগ করেছিল ওরা,
অসুর বিনাশকারী ছিন্নমূল পাখিদল
যে শূর দাপিয়ে বেড়ায়, সেও পথহারা ।

মৃত্তিকা বলেছিলো, যত পার দাও চাপা
আমি সহে যাবো, রয়ে যাবো স্থির
যার যে আপন করে রেখেছে আপন
নক্ষত্র ফুটে ওঠে সবটাই শরীর

অন্ধকার হেসেছিলো, স্বাদে বিস্বাদে
লেহন, পরস্পরের গালে গাল ছোঁয়া
ভাললাগা মন্দলাগা দিন, কাটুক আহ্লাদে
কীটদগ্ধ কুঁড়িদল ঝরে ঝরে যাওয়া