শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের কবিতা

শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের কবিতা

বক

একরাশ জোছনায় পরী তুমি।

তোমার শরীর জুড়ে চুমকি চুমকি অহঙ্কারের তীক্ষ্ণ যুক্তিতে ভেসে যাচ্ছে দিঘির জলের ওপরে শালুক পাতায় বসা সাদা বক। ও পাখি দূরকে দেখে। দূরে বহু দূরের অতীতকে সামনে নিয়ে এসে ঠোঁট দিয়ে পোস্টমর্টেম করে। এরপর চেরাই করা কালো কালো অন্ধকারগুলোকে ভবিষ্যতের কয়লা খাদানের দিকে ছুঁড়ে মারে।

পাখিদের মনোজগতে ঢোকার রাস্তায় নীল সাদা পালকের নীচে নেমে গেলো বর্তমানের আসছি আসছি বলা বর্ষা কাল। মেঘের জঠরে ঠাসা মাছের বিছনের দিকে চেয়ে আছে সাদা ধবধবে বক।

বকের পাশে বসে স্বাদমতো সামুদ্রিক লবণ।

লবনের মতো কোনো কোনো না দেওয়া প্রশ্নের উত্তর জলে ছিপ ফেলেও মনকে খুঁজতে খুঁজতে অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যতের সরল রেখা বরাবর বাঁশি বাজাতে বাজাতে মহল্লা পার হয়ে চলে গেলো।

মাছির বহুগামিতা

কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা একটি আপেক্ষিক বিষয়।
বিষয়ের মধ্যে গোপনে অবস্থান করছে অলিভ ফুল।

সুগন্ধির ব্যবসা সম্প্রসারণ হতে হতে গোলাকার উপত্যকায় হাওয়া উঠলো হাওরের পাড়ের তাজা ফলের মাছির ডানায়।

উড়ছে উড়ছে, মাছি উড়ছে।

উড়ন্ত অফুরন্ত বৃষ্টি ভেজা পায়রাগুলি কার্নিশে বসে দেখছে
এক মাছির বহুগামিতায় আঁকা বক্ররেখার আল্পনাকে।

মহাজাগতিক

কৌমুদিনী জলে হারিয়ে ফেলেছে নাকছাবি।

পোখরাজ পাথর শিস দিচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত বুকলেট সরবরাহকারি জলের ধারের কেল্লার ছায়ায়।

আজ সোমবার।
ব্যকরণ না মানা কৌমুদিনী কিছু না বুঝেই বোঁটা ছেঁড়া ব্যথা নিরাময়ের সুখ দুঃখের গল্প পাঠিয়ে মেইল বক্সের বাইরে এসে বসে পোখরাজের মিথকে বিস্কুটের মতন করে কামড়ে ভাঙতে থাকে।

আকাশের এরোপ্লেন এর মানে খুঁজতে আচমকাই শিশুর আবিস্কৃত মহাজাগতিক গর্জনকে উপেক্ষা করে কাল বৈশাখের মেঘের ভেতরে ঢুকে গেলো।