মৌসুমী ভৌমিকের কবিতা

আলাপন
আচ্ছা,কিংশুক কি তা জানে
তার নামে একটা গাছ আছে ক্যাম্পাসে!
ক্যাম্পাসের সেই চত্বরে বসে আছি দুজনে
-ফেরবার পথে।
চারদিকে পাতার স্তূপ,ফুল প্রশাখার ওপরে
ফুটে আছে থোকা ধরে।
কিছু ফুল ঝরে পড়ে আছে পাশে…
কিছু ফুল তুলে নিই দু-হাতে…
আহ্,নেশা লাগতে থাকে অন্য বসন্তের
-কিংশুক বোধহয় তা বোঝে!
তাঁর টলটলে দুটি চোখে ফুটে ওঠে
সেই দুটি শব্দ,যা শোনা হয়নি এখনও।
একটা পর্ব শেষ।শুরু হলো আরেকটা পর্ব
-চলো হাঁটি…
বাসন্তী আশা
সারাদিন এদিক ওদিক হেঁটে চলেছে দু’জনে…
ছড়ানো ফুলে পথ সাজে- কম কিসে!
পথ হারায়। ফুল মারায়।
চৈত্রের সব ফুল- সেসব চেনার কথা।
প্রণয় প্রকাশে প্রণয়িনী ছড়িয়ে দিয়েছে আঁচল
-অপরাজিতা রঙের।
চারপাশে কত সবুজ ছিল
হাতে ফুলের তোড়া ছিল
-অশোক ফুলের।
দু’চোখে টগরী আবেশ ছিল মাখা।
খোলা চুলে গোঁজা দুটো অলকানন্দা
যেন বিরহের গান গাইছিল।
ওরা হেঁটে চলেছিল…
এই মিষ্টি মুহুর্তে-
মাটিতেও ফুলছায়া ছিল
মহুয়া একটা গাছ ছিল
মাতাল হবার সুখ ছিল ওই দুই বুকে।
ওরা দু’জনে পথ চলছিল…