নিমাই জানার কবিতা
স্যাপিয়েন্স ও ধৃতরাষ্ট্রের দুটি ধারালো চোখ
স্যাপিয়েন্স অধ্যুষিত ভগ্নাবশেষের কাছে দাঁড়ালে মৃত মানুষের মুখের গন্ধ ছাড়া আর কিছুই থাকেনা
আমি দ্বিজ শরীরের ভেতর মিথোজীবিতার সম্পর্ক শেষে সূর্য প্রদেশের দিকে উড়ে যাই ধৃতরাষ্ট্রের দুটি ধারালো চোখ নিয়ে
ঈশ্বরী আমাকে কতোবার মুখের একদিকে গজিয়ে ওঠা একান্তর কোণের তুলসী পাতা গুলো দেখিয়ে গেছেন সন্ন্যাস পাঠক্রমের দুটি বিনীত জায়মান মৌলিক সংখ্যায় ভিজিয়ে
অর্জুন ঠিক এ কারণেই ধর্মক্ষেত্র থেকে চলে আসতে চেয়েছেন বারবার
স্বজন বিয়োগের যন্ত্রণা নিয়ে কোনো ঈশ্বর ক্ষয়জাত অভিমুখে একাকী নিয়ে যাবেন মৈথুন পরাগ
রক্তিম বর্ণের কণিকাগুলো একসাথে বেড়ে ওঠে চারা গাছের মতো , আমি বাবার ভেতরে এক নাইট্রেট পুরুষকেই দেখেছি
যার কোন জায়মান অসুখের ধারাপাত নেই
বেগুন রক্তের পাশে দাঁড়ালে সবাইকে নীল অশরীরী লগারিদম গুলো ভাঙা দাঁত দিয়ে কামড়ে খেতে চায়
উপবৃত্তাকার জীবাশ্ম ও বিসর্গ অধ্যায়
সাইটোপ্লাজম দানায় আরো একটি অদ্ভুত ফারেনহাইট শুয়ে আছে বিবিধ স্তন্যপায়ীর মতো
অদ্রিজা বালিকা একাই যমুনা যাপন করে নীল সরোবরে নেমে , আমি কালিয় বুকের ধারালো কণ্ঠস্বরের মতো কাপালিক নেমে এসেছিল হয়তো মধ্য বিভাজিকা দিয়ে
মৃত্যুর আগেও উপবৃত্তাকার জীবাশ্ম গুলোই আমার ডান বৃক্ক খাচ্ছে
ল্যাটারাল ঠোঁটের ভ্যাজাইনাল ক্যান্ডিয়াসিস একটি জীবাশ্ম হীন ইতিহাসের বিসর্গ অধ্যায়ের নাম
১০৮ নারীদের লাল রঙের পাঁজর দ্রাঘিমাংশ ভেঙে দেওয়ার পর বিমুগ্ধ ক্ষেত্রফলে দাঁড়ানো মাইটোকনড্রিয়ার অসুখগুলো ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে
আমাদের প্রতিটি কোষের স্যালাইভা রঙের সরোদ বাজানো যৌনক্রিয়া ডাকটি সেরে ফেলি রাতের পর্বমধ্যহীন অ্যাডেনিয়াম ফুলে,
ব্যাঙ্গাচির মত মৃত শুক্রাণুদের ডানপাশে গজিয়ে ওঠা প্রতিটি মানুষ এ শহরতলীতে নেমে ভূগোল খুঁজে বেড়ায়
আমি আকাশের নিচে এক গুচ্ছ ফল দোকান থেকে নরম ত্রিভুজ কিনে বাড়ি ফিরি বিসর্গ বক্ষবন্ধনীর মত
আগুন আবিষ্কারের আগে ও আমাদের দাঁত ছিল না বলে সমুদ্রকে কামড়ে ধরতে পারিনি দেবদারু চারা রোপণের আগে ,
ডোলোনেক্স ডি টি ও বিষ ফলের উপপাদ্য
মায়ের তেরোটি ডানা উড়ে যাওয়ার আগেই সংসারের ভেতর বিষধর পিঁপড়েরা বিষ ফলের দিকে এগিয়ে গেছে লেনিন লংমার্চ নিয়ে
চেকিতান , বারনাবত গৃহটি থেকে ঘুরে আসে ডোলোনেক্স ডি টি রঙের লোকগুলো , যাদের রাতের বেলায় কোন নিশাচর দেখায় না মৃত মানুষদের বিভাজিকা গুলো কাঠের মতোই পালঙ্কে নেচে বেড়ায় ময়ূরীর সাথে,
ট্রিপটোমার উপত্যকার মতই আমার সহবাস নারীর তলপেটে ফিনফিনে ঈশ্বর স্নানরত হয় দক্ষিণদিকের হিমোফিলিক বিমুগ্ধ বাতাস নিয়ে
চন্দ্রগুপ্ত আমাদের সংগীত বিদ্যা শিখিয়ে গেছেন বৈষ্ণব অরকেরিয়া জলে ডুবিয়ে
আমার বাবা ১১/৩৩০ দৈর্ঘ্যের বিষধর নৌকার অঙ্কন প্রণালী দেখিয়ে গেছেন
তুতেনখামেনের মতো অপ্রাকৃত লাইসোজোম ডানা নিয়ে আমরা কোন দিন একসাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারিনি জিওল মাছের দেহে
বৃষ্টির ধারাগুলো ঠিক হাফ কোসাইন থার্মোমিটার জলের মতো বাড়ির চৌকাঠে পিশাচদের বেঁধে রেখেছে লাল রঙের আইব্রুফেন স্টিমুলেট ,
আমার কোন টেস্টোস্টেরন ইমোশান ছিলনা ভিট্রিয়াস শ্রীখোল বাজানোর আগে
থার্টি ডিগ্রী সূক্ষ্মকোণ ও অ্যালকোহলিক দাঁত
আমাদের দেহে অসংখ্য তৃণভোজী উদ্ভিদ মায়া অন্ধকারে নেমে স্নান করছে লাবডুবের বাঘ নখ সন্ন্যাসের মতো
মাংসাশী বাঘটি প্রাচীন ছিল বলেই দাঁতের ভেতরে থাকা বৃত্তাকার চন্দ্রকলাগুলি একসাথে রোপন করে গেছে মৌখিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান থেকে ফিরে
একটি গোখরো সাপ নীলাভ্র ব্যঞ্জনবর্ণের চতুস্থলকে উপবৃত্ত রচনা করেনি কোনদিন শঙ্খধ্বনি অপেক্ষায় আমি মূলত একটি সিপাহী পোশাক পরে নেমে আসে থার্টি ডিগ্রী সূক্ষ্মকোণে
আমার গায়ের কেশব সাদা রঙের পোশাক তখনও বৃত্তাকার অসুখের ভেতর বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরিয়ে গেছে
ভোররাতে মাতাল হয়ে শুক্রগ্রহের নিচে দাঁড়িয়ে সন্তানের ল্যানসোপ্রাজল কীর্তনীয়া পুরুষদের দ্বিখন্ডিত করে নৌকাগুলো ভাসিয়ে চলি
একটি ল্যাভেন্ডার পরিহিত শোভনা বস্ত্রালয়ের তিনকোনা ঘরের ভেতর টুনটুনি বাসা বেঁধেছে নারীদের পরিসীমা নির্ণয় করার আগেই
অ্যালকোহলিক দাঁতের স্নায়ুতন্ত্র গুলি পাঠ করি অভিমুন্য ঈশ্বরের পাশে পরাবৃত্ত শিখে নেওয়ার পর
ছায়াকে হত্যা করতে শুধু সুনিপুণ আত্মহত্যা করতে জানতে হয়
বীর্যভর্তি স্থানাঙ্ক ও ক্লোরোফিল ঠোঁট
অ্যাবাকাস ফেলে আর্যভট্টের দানাদার নাশপাতি বীজ গুলো রাতের ধ্রুবতারার দশমিক দেহ মাপছে মাপনি চোঙ দিয়ে ,
অ্যালকোহলিক পুরুষ সঙ্গম অভেদের ডানপক্ষ নির্ণয় করতে পারে না
শুধু কালীদহে নেমে আমার গোপন নারীকেই খুঁজে ফিরি ফায়ার বল পনসেটিয়ার অসম্পৃক্ত দ্রবণ দিয়ে
প্রতিটি ঘর উত্তল লেন্সের মতো বৈতরণী অসুখ পাড়াগুলো এক চোখ সন্ন্যাস হয়ে নীরবে চলে যাচ্ছে দুর্গন্ধময় শ্লেষ্মাযুক্ত ব্রম্ভান্ডের দিকে
বীর্যভর্তি স্থানাঙ্ক জ্যামিতির পাতা গজিয়ে ওঠে রাতের বেলায়
যারা একটি অস্ত্র ভান্ডার থেকে ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে আমাকে সবুজ দ্রোণাচার্য করে তোলে
আমি বিপরীত স্রোতের জন্য অপেক্ষা করি পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত হাড়ে গজিয়ে ওঠা পায়াসান্ন খাওয়ার পর
আমার দেহে হিসহিসিয়ে বেড়ে উঠছে জিংক সায়ানাইড , ল্যাকটেট বেলপাতা আর ত্রিশূলের জীবাশ্ম
আমি উদোম মৎস্য জীবীদের জরায়ু কাঁটা চামচ দিয়ে ভাগ করার পর ভাগশেষ পাইনি , ঘুমের ঘরে অন্তঃস্থ বর্ণের শিরদাঁড়ায় উচ্চারণ করি ব্রহ্মস্মি
আজ ৩৭ ডিগ্রির উষ্ণতম প্রবাহ ছিল বিছানার প্রতিটি মন্থকূপে , ক্লোরোফিল ঠোঁটের সপিণ্ডকরনে আতপ চালের দুধ মিশিয়েছি
খুব রগরগে