জয়িতা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

জয়িতা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

হলুদ আলো

পরাজয় পুষিনি মনের কোনে
আনন্দের গতির নিয়ন্ত্রণ
বেশি বেশি বিশ্বাস করে
আমি হেসে উঠি উন্মাদ দশায় চুপিসারে
যেখানে হলুদ আলোটি ঝরে পড়ে
আমি তখন খ্যাতি থেকে বহু দূরে শুয়ে
হলুদ আলোটি যেখানে পরস্পর ক্রিয়া করে
আমি সেই মৃত কবি যার নামে আচমকা বৃষ্টি নামে
নগ্ন হলুদ আলো পরাজয় ছুঁয়ে কাঁদে
আমার মৃত্যুতে নদী সাক্ষী হয়ে থাকে।।

নির্জন কবিতা

উন্মাদ আলোর পাশে রাখা আছে পচা গলা দিন, কবি পথের দুপাশে পথ রেখে যায়
রেখে যায় ঘন জঙ্গল উদাসীন
নিঝুম গন্ধের ভেতর মৃত্যু
যাকে অনেক দূর পর্যন্ত পড়া যায়
পড়ে থাকে প্রেমের কবিতার দায়
কবিতা থেকে প্রেম ছিঁড়ে নিইনি কোনদিন
নিয়েছি প্রতিবাদ, যন্ত্রনা আর বিপন্নতার দিন
স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে
কবিতা আছে বলে আমি আছি
ওই জঙ্গলের আদিম গন্ধ
বুঁদ হয়ে বসে আছে আমার কাছাকাছি
মহাসমুদ্র আর আগ্নেয়গিরির শরীর থেকে ছিনিয়ে এনেছি কবিতা, গুহা সন্ন্যাসীর মতো সাধনা আমার পাতায় পাতায়, সম্মোহিত হও হে আমার নির্জন কবিতা।

কাল্পনিক

তোমার মাংসপিন্ডের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
আমি ছেড়ে আসি আমার শরীর
ছেড়ে আসি ছায়া রোদের মধ্যে
গায়ে মেখে নিয়েছি তুমি নামের হাওয়া
যার স্পর্শে কান্নাও আবীর হয়ে ওঠে
যেমন শব্দরা ঢুকে যায় কথার সাম্রাজ্যে
তেমনিই আমি ঢুকে যাই তোমার ভেতর
আমাদের দুটো গোলার্ধের মধ্যে টানা হয়
ভালোবাসা নামের কাল্পনিক রেখা।