অনঞ্জনের কবিতা

অনঞ্জনের কবিতা

অপেক্ষা ও তারপর…

পরমেশ্বরের ইশারার যাদুতেই খোলা হাওয়া আগুন ছড়ায়
আর কাঙালের মতো আদেখলের মতো সে
অসম্ভব দৈন্য নিয়ে আকুতি নিয়ে ডুবতে থাকে এক বিপুল উৎসবে,
সব রুক্ষতা সেখানে ভিজতে ভিজতে বন্ধন
চিরবিস্ময়ের পর অবধারিত বিরহে আকুল হয় আকাশ
মুছে যায় সব ধ্বনি সব গ্লানি কোমলে
জ্যোৎস্নার মতো মায়াজালে আটকে থাকে ঝড়, অমৃত-মন্থনের সর,
সে মাহেন্দ্র-মুহূর্তে মানুষ অপূর্ব একা
সমস্ত আকাশ-জুড়ে যেন অপেক্ষার ঝড় একাকী অরণ্যের বুকে
একফোঁটা ইশারায় সমস্ত শরীর শান্ত
স্তব্ধ উদারতায় অরণ্য মিশে যায় অফুরন্ত প্রকৃতির কোলে।

হে পুরুষ, হয়ে ওঠো ...

নীল মাধবের স্বপ্ন ছিল রাধা
বাস্তুভিটের বাইরে রাখুক পা,
তোমরা যদি সত্যি নায়ক হবে
স্বপ্ন দেখার সাহস দেখাও না।

এমন করে স্বপ্ন মাখো চোখে
মাধবীলতা নীলাভ হয়ে যায়,
দীঘল দীঘি উছলে পড়ে হায়
তোমার স্বপ্নে নদীর গান গায়।

যেদিন তুমি সত্যি মাধব হবে
ইষ্টিকুটুম বরষাবেলা হলে
আকুল পাখি আত্মবিভোর সুরে
শোনাবে গান মল্লারে-তিনতালে।

তোমার আকর স্বচ্ছতোয়া হলে
উজান গাঙে নদী পাগল হবে,
ভরা নদী তোমার কিরণ বুকে,
নারী ওহাত নিজের হাতে পাবে।

ছায়াপথখানি

কথা অসমাপ্ত রেখেই
চলে গিয়েছিলে তুমি, নিঃশব্দে,
তরঙ্গের রূপের মতো,
অসমাপ্ত সেই কথার দাহ
আমায় হঠকারী করেছে,
পাপের স্বপ্ন ধরে স্বপ্নকে,
তবু কেন বিহানে ব্যাকুল?

নিয়ে গেছ ছায়াপথখানি
যা গেছে সপ্তর্ষিমণ্ডল থেকে ধ্রুবতারায়,
বসে আছি আমি
এই অসমাপ্ত রক্তমূর্তি, অসহায়,
কবে হবে বিহান কল্লোল।