নবনীতা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

ছায়া ও ঈশ্বর
বৃক্ষের ছায়ায় ফিরে এলে
বুঝি ঈশ্বরের অবলুপ্তি হয়নি|
ঝিরিঝিরি জলপ্রপাতের শব্দ ভিতরে
জলের… মাছের.. নদীর.. ঘ্রাণে
ডুবুরি মানুষের প্রতিবিম্ব কাঁপে।
রক্তক্ষরণের গল্পের কোনো শব্দ হয় না।
সুইস গেট ভেঙ্গে জল এলে
এখন মানুষ নিপুণ আলস্যে
দুধ-আলতা জ্যোস্নার কথা ভাবে।
এসকালেটর
শপিংমলের চলমান সিঁড়িটি স্বপ্নে আসে রোজ|
দুরন্ত গতিতে সিঁড়ি উপরে ওঠে, এগিয়ে যায়|
ততটাই উপরে যেখানে বাঁধা থাকে তার সীমা|
আরো উপরে উঠতে গেলে বড় গোল বাঁধে|
লোকজন আসে…কলকব্জা সারায়…
ভারসাম্যের বাড়াবাড়ি বেঁধে দেয়।
রাত গভীর হলে এক বিষণ্ণ যান্ত্রিক মানুষ
নি:শব্দে..নিশ্চুপে.. ম্যাজিকের কথা ভাবে।
এইসব নিয়ে
পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে এইমাত্র
চন্দ্রাভিযানে রওনা দিল মহাকাশযান।
চাঁদের অন্ধকারতম অঞ্চল ছুঁয়ে
দেখে আসবে জ্বালামুখ, উল্কাপাত,
সূক্ষ্ণ কালো ধূলিকণা ভরা
সামুদ্রিক খাত, শূন্য হা-হা উপত্যকা
বিষণ্ণ উদাসীন পর্বতমালার বুকের
নিচে ছড়ানো শব্দহীন বর্ণমালারা…
এইসব নিয়েও এক আলোকিত চাঁদ
কবিতার খাতায়… জ্যোস্না ছড়ায়…