অণুগল্প: অন্যরকম সুখ

অন্যরকম সুখ
এ কে এম আব্দুল্লাহ
ইস্। রাহেলার কপালে যে এতো সুখ ছিল, ওকে দেখে কোনোদিন মনে হয়নি। আজ শুকনোতে যেন ওর নাও তর তর করে দৌড়াচ্ছে।কত দ্রুত ওর কপাল বদলে গেল। আর আমার কপালে…
স্ত্রীর মুখে আক্ষেপের সুর শোনে, মনিরুল আকবর বনফুলের নিমগাছ গল্পটি পড়া বন্ধ করে বইটি টেবিলের ওপর রেখে চশমাটা নাকের ডগায় এনে স্ত্রীর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বল্লেন— কী হয়েছে ? হঠাৎ রাহেলার কপালে কী এমন সুখের পাহাড় গজালো ?
সুখ নয়তো কী বলব ? গতকাল রাহেলার বার্থডে ছিল। রাত ১২টায় তিনছেলে মিলে কেক কেটে মাকে সারপ্রাইজ দিল সাথে কত গিফট। স্ত্রীর কথা কেটে মনিরুল আকবর বল্লেন, শোনলাম বড় ছেলে জেলে ছিল, বেরিয়ে এসেছে ? হ্যাঁ। আজ মাকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে লাঞ্চ করল। দেখো রাহেলার কপাল। এবার মনিরুল আকবর বইটি হাতে নিয়ে পৃষ্টা উল্টাতে উল্টাতে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বল্লেন ; আর তাদের বাপ অর্থাৎ রাহেলার স্বামী কি তাদের সাথে লাঞ্চ করেছেন। স্বামীর কথা শোনে স্বাভাবিক ভাবে বল্লেন— না না, স্বামী রাতের বাসি খাবারই খাবেন। স্বামীতো নামেই সাথে আছেন। ছেলেরা সব মায়ের কথার মধ্যে। স্ত্রীর কথায় মনিরুল সংক্ষেপে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বল্লেন— আসলেই রাহেলার কপালে সুখের পাহাড় গজিয়েছে, বেচারা স্বামী। স্ত্রীর জন্য নিজের পা-টা পর্যন্ত ভেঙেছিল।
২২/০৯/২০২০