গল্প: ডিগবাজি

গল্প: ডিগবাজি

ডিগবাজি
স্বাতী চৌধুরী

একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতার বিশাল জায়গা নিয়ে একটি রিপোর্ট ।সেই রিপোর্টের লিখিত বর্ণণার চেয়ে একজনের বিশাল ছবি ঢেকে রেখেছে তার পেছনে দাঁড়ানো অসংখ্য মানুষের ছবি।বড় বড় হরফে ছবির বিশাল মানুষটির অমিয় বচন রিপোর্টের শিরোনাম।জনগণের অধিকার নিয়ে তার এই জনসভা। তিনি মানুষের মৌলিক একটা দাবীর বিষয় নিয়ে বলছেন যে তার দলই এসব গণঅধিকারের কথা ভাবে। তাই তিনি গণমানুষের অধিকারের সাথে একাত্মতা জানাতে এখানে এসে সামিল হয়েছেন।আম পাবলিক যদিও এখন কোনটা আসল আর নকল বুঝে তবু আর দশজন নেতার মতো তিনিও নিজেকে গণমানুষের একজন হিসেবে প্রকাশ করে মানুষকে মোহিত করে এমন নানা বিষয় ধরে ধরে বক্তব্য দিয়ে টেবিলে রাখা টিস্যু বক্স থেকে টিস্যু পেপার নিয়ে মুখের ঘাম ও চোখের পানি মুছেন।অথচ তিনি এমন একটি দলের নেতা যে একদিন নিজেই সেই দলের মূল নেতার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের একজন অকুতোভয় যোদ্ধা ছিলেন।আন্দোলনে বেপরোয়া অংশগ্রহণের জন্য তিনি জেল খেটেছেন।জেলজীবনের কয়েকমাস পুলিশের লাঠির বাড়িসহ অনেক টর্চারের শিকারও হয়েছেন।সেকথা সাধারণ মানুষ ভুলেননি।তবে তিনি যে ভুলে গেছেন সেকথা তো এখন দিবালোকের মতো সত্য।পত্রিকার রিপোর্ট পড়তে পড়তে তার এক সহযোদ্ধার সেদিনের কথা মনে পড়ে যায়।
সেদিন সকালে এক বন্ধুর বাড়িতে তার মায়ের হাতে বানানো চা খেয়ে আরো কয়েকজন বন্ধুদের অপেক্ষায় ছিলো সে।বন্ধুটি তাড়া দিয়ে বলছিল,- দেখ ভাই,এই দিনের আলোয় তুই আর আমার বাসায় থাকিস না।কে কখন দেখে ফেলে বলা যায় না।জানিসতো আমার মা একটা সরকারি চাকরি করে আর এই চাকরির ওপর ভর করে আমাদের চার ভাই-বোনের পড়ালেখা সহ সংসারের যাবতীয় খরচ চলে।সেজন্য তোদের আন্দোলনের প্রতি আমার সমর্থন থাকা সত্বেও নিওটাল থাকি।তোরা রাতের অন্ধকারে আসিস ।তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমার মা চান না যে, পুলিশের খাতায় আমার নাম উঠুক আর আমার মায়ের চাকরির সাথে সংসারটা হুমকিতে পড়ুক এই আর কি?বন্ধুর এমন কথায় আজকের সাংসদ সেদিনের ছাত্রনেতার খুব অপমান লাগে।সেদিন তার দুচোখে গণতন্ত্রের নেশার ঘোর।বন্ধুর পরিবারের বাস্তবতা বোঝার মতো মন তার ছিল না।তাই রাগ করে বন্ধুর বাসা ছেড়ে শহরের অখ্যাত এই পাড়ার মোড়ে মাফলারে মাথা ঢেকে বন্ধুদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিল।যুব সংগঠনের বড়ভাই বলে দেবেন তাদের কোথায় গিয়ে মিলতে হবে এবং সেখান থেকেই স্মরণকালের স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলটি বের হবে।তখনতো আর মোবাইল ছিল না যে মূহূর্তেই কাউকে অবস্থান জানানো যায়।তাই বন্ধুরা তাকে পাচ্ছিলনা।অথচ পুলিশ কি করে যেন খবর পেয়ে গিয়েছিল যে তারা এদিকেই আছে।সাদা পোশাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তারা।তাই দিলোয়ার, তাপস, সেজান শিমুলরা যখন তাকে খুঁজছিল পুলিশ সকলকেই একসাথে পেয়ে যায়।সেজান দৌড়ে পালাতে পেরেছিল কোনোরকমে। ঐদিকটা ঘনবসতি হওয়ায় কোন ঘরে যে সে ঢুকেছে পুলিশ তার হদিস পায়নি। যদিও পাড়ার সবগুলো ঘরকে তারা তছনছ করেছিল সেজানের খোঁজে।তাপস,দিলোয়ার,শিমুল ও সে যে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সেখবর সেজানই জানিয়েছিল ওদের পরিবারে এবং সিনিয়র নেতাদের।পরিবার থেকে চেষ্টা করেছিল জামিনের জন্য কিন্তু উকিল সাহেব সেসব আবেদন নিয়ে কোর্টে দাঁড়াতেই পারেনি।খবর আসছিল-পুলিশ দুই দিন, তিনদিন,চারদিন এমন কি সাতদিনের জন্যও রিমান্ড দাবী করছিল।স্বৈরাচার পতনের পর যখন ওরা মুক্ত হয় রিমান্ডের অত্যাচারে তখন ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছিলনা । সুস্থ হতেও অনেকদিন সময় লেগেছিল।
পাড়ার চাখানায় জমে উঠেছে তুমুল আড্ডা ।আড্ডায় নানাবয়সী মানুষের সমাগম ঘটে।উঠতি ছোকরা থেকে পরিণত যুবক প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ সকলে মিলে একই আলোচনায় সামিল হয় কথনো।চা খানার নিয়মিত আড্ডাবাজ মধ্যবয়স্ক ফরিদ আলী পুরনো দিনের গল্প করতে ভালবাসেন।তরুণ যুবকেরাও উৎসুক হয়ে শুনে সে আলোচনা।তার গল্প বলার ঢং বড় আকর্ষণীয়।কখনো আঞ্চলিক কখনো প্রমিত বাংলা মিলিয়ে বলা কথাগুলো তার পরিবেশন কৌশলগুনে বড় সরস হয়ে ওঠে।তার সরস আলাপ আলোচনা সকলে পিনপতন নিরবতায় শোনে।সেদিনের আলোচনার বিষয় ছিল রাজনৈতিক ডিগবাজির গল্প।
নিবারণ বাবুর মেজো ও ছোট ছেলেটা ডিগবাজি খেলতে খুব পছন্দ করে।ছেলেদের জন্য নিবারণবাবুর হৃদয় বা বুক যাই বলা যাক না কেন সেটা এক অগাধ সাগর।-আরে সাগরতো অগাধই হয় তা আবার বিশেষ করে বলতে হয় নাকি ? বন্ধু একজন সহাস্য প্রশ্নে আসরকে আরো মাতিয়ে তোলে। ফরিদ আলী বলেন, বলতে হয় কারন এখন হচ্ছে বিশেষণের যুগ। বিশেষণ না লাগাইলে মানুষ কিছুতেই গুরুত্ব দেয়না।দেখছেন না কেমন বিশিষ্ট নেতা বা নেত্রী,বিশিষ্ট কবি,বিশিষ্ট সাংবাদিক,বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী এভাবে না বললে তিনি যে অন্য আর দশজনের থাইকা বিশিষ্ট সেইটা বুঝানো যায়না তেমনি নিবারণ বাবুর হৃদয়টা যে সত্যি সত্যি একটা সাগর তা বুঝাতে সেই আর কি।তাইতো এইরকম বিশিষ্ট যুগে সবকিছুরে একটু বিশিষ্ট কইরা না কইলে হয়না।তাই যেটা বলছিলাম যে নিবারণ বাবুর বুক বা হৃদয় তার ছেলেদের জন্য অগাধ সাগরের মতো ভালবাসায় ফেনিল তরঙ্গসংকুল ছিল সারাটা জীবন।পরপর তিনচারটি ছেলের জন্ম হইলে পর নিবারণবাবু খুশিতে আটখানা হইয়া দিশাহারা অবস্থা।খুশির চোটে তিনি তার সাধ্যের বাইরে গিয়েও ছেলেদের জন্য নানারকমের খেলনা নিয়ে ঘরে ফিরেন।কিন্তু একটু বড় হইলে পর তাদের শুধু এইসব খেলনায় আর যখন আনন্দ হয়না বলে তারা বিছানায়,ঘরের ফ্লোরে উঠানের মাটিতে ডিগবাজি খাওয়া শুরু করেছে তিনি বাড়ির সামনে একটি ডিগবাজি খাওয়ার মতো দড়ির দোলনা বানিয়ে দিলেন ।বাপের বানিয়ে দেয়া দোলনায় বসে ডিগবাজি থেতে খেতে তারা সেয়ানা হয়ে উঠতে লাগলো।এখন এই দড়ির দোলনায় দোল খাওয়ার মতো ডিগবাজিতে পোষায়না বলে বৃহত্তর খেলার অন্বেষণে বেরিয়ে গেলো আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়লো।
বুড়ো নিবারণ বাবু ছেলেদের নিয়ে নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে চেতনে অবচেতনে দোল খান।বাতাসে খবর আসে তারা শিক্ষায় জ্ঞানে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।কেউ কেউ এমন সুনাম অর্জন করেছে যে সে সুনামের নাম দেশের বাইরেও চলে গেছে।ছেলেরা নিবারণবাবুকে আরো বড় স্বপ্ন দেখায়-একদিন তারা হিমালয়ের চুড়া স্পর্শ করবে।তাতে নিবারণচন্দ্র একটু বিভ্রমে পড়েন।এ কোন হিমালয়ের কথা ছেলেরা বলে ? সে কি পর্বত হিমালয় নাকি সাফল্যের চুড়া ?তার পিতৃহৃদয় ভয় পায়।চুড়ায় পৌঁছতে গেলে পতনেরও ভয় থাকে রে বাবা! তাই এবার থামো তোমরা।
না বাবা জীবনের ধর্ম থেমে যাওয়া নয়।থেমে গেলেইতো পতন। চলতে থাকাই জীবন।
নিবারণবাবু কিছু বলেন না।চিরকাল ছেলেদের প্রতি অপত্য স্নেহ দিয়েছেন।তিনি এদের কোনোদিন থামান নি।তবে তিনি ভয় পান।তিনি জানেন মাঝে মাঝে থেমে যেতে হয়।টিকে থাকতে হলে থামাটাও জরুরি।হিমালয়ের চুড়ায় যাওয়ার আগে পথে গভীর খাদ যদি থাকে, হিংস্র জন্তু যদি থাকে,জীবন সংশয় থাকে!তিনি ভাবতে পারেন না।
তখন দেশে এক স্বৈরাচারের দুর্দন্ডপ্রতাপে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় পড়ে সকল রাজনৈতিক দল জোট বাঁধে আর দূর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠে।সে আন্দোলনে সামিল হয় সাধারণ মানুষ।এই সময় রাজধানীসহ সারাদেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনও জোরদার হয়ে ওঠে।সংস্কৃতির পীঠস্থান এই শহরেও তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন বিকেলে জাগরণের কবিতা পাঠ হয়। নাটক হয়। চলে সংগীত ও আলোচনা।মানুষের প্রাণে প্রাণে গণতন্ত্রের বার্তা যেন দোল দিয়ে যায়।তরুণ যুবকেরা ঝাপিয়ে পড়ে আন্দোলনে।তারা পুলিশের লাঠির পরোয়া না করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।অবশেষে পতন হলো স্বৈরাচারের।দেশে নতুন সরকার আসে।জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের জন্য সরকার।কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হলেও তারা জনগণের সরকার হয়ে উঠতে পারেনি। তারা সকলেই হয়ে যায় দলের লোকজনের আরও সুস্পস্ট করে বললে দলের বড় নেতা ও তাদের চামচাদের জন্য সরকার।তাই মানুষের আশাভঙ্গ হতে বেশি দিন সময় লাগেনি।তারা নিজেকেই প্রশ্ন করে কোথায় গণতন্ত্র ? এতো দেথি যে লাউ সেই কদু!গণতন্ত্রের মোড়কে নতুন স্বৈরাচার। সাথে গোঁদের উপর বিষফোঁড়া রাজাকার আলবদরের দলও ক্ষমতার অংশীদার হয়ে গেল।রাতারাতি পাল্টে গেল কিছু মানুষের ঘরবাড়ি ও চেহারার মানচিত্র।হাড্ডিসার খেটিকুত্তার মতো পথে পথে ঘুরে বেড়ানো কিছু ছেলে ছোকড়া শুধুমাত্র ক্ষমতার বলয়ের কাছাকাছি গিয়ে গায়ে গতরে জেল্লা বাড়িয়ে তুলল।
ক্ষমতা চিরকালই মধুর চাক।তবে সেইটা সাধারণ লোকের আয়ত্বের বাইরেই ছিল।কাগুজে গণতন্ত্র কিছু সাধারণকে অসাধারণ হওয়ার সুযোগ এনে দিল বটে কিন্তু জনগণ সেই উলুখাগড়াই রয়ে গেল।হায়রে গণতন্ত্র! ফরিদ আলী একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
তো হইল কি গনতান্ত্রিক ডিগবাজির খেলা সেই তখন থেকেই শুরু।রাম শ্যাম যদু মধু রহিম করিম সলিমউদ্দিনও কখনো কখনো আমাদের গণতন্ত্র শিখায়রে ভাই।দলবদল গুটিবদল সেই ছোটবেলার স্কুলের ক্যারম খেলার মতো।কিন্তু কেবল দল আর গুটি বদলাইলে কি হইব রে ভাই ?বোর্ডতো সেই একটাই।লালগুটিও একটাই।ক্ষমতা যে সব লাল গুটি আর বোর্ডের মাঝে!
তার লাইগাই তো লালগুটির পিছন পিছন দৌড়ায় মাইনষে ।কেউ একজন যোগ করে।
একদম ঠিক কইছো রে ভাই।
ফরিদ আলী আবার যোগ করে এই বদলাবদলি খেলতে গিয়ে একদিন এই স্বৈরাচারও দাবার গুটি হয়ে গেল। তারে নিয়া টানাটানি শুরু হইলো।ক্ষমতার হাত বদল হয়।ক্ষমতার মধুলোভী যারা তারা ক্ষমতার পালাবদলে দল বদলায় পোশাক বদলের মতো।ক্ষুব্দ মানুষের গালমন্দ ওরা শোনে না ।তারা কানে বয়রা গোটা দিয়া থাকে আর ভাব করে কাকের মতো।কাক যেমন মনে করে সে চোখ বুজে লুকায় বলে সকলেই চোখ বুজেছিল।কেউ কিছু দেখে নাই শোনে নাই।
কিন্তু পাবলিকতো সত্যিই অখন আর কিছু দেখে না ফরিদভাই।কিছু শোনেও না।
তাইতো।অতক্ষণ ধইরা যে কাহিনীটা বুঝাইতে চাইলাম।আমাদের এমপি সাব-নিবারণ বাবুর সেজো ছেলের ছাত্রজীবনে যে স্বৈরাচারের পুলিশের লাঠির বাড়ি খাইয়া পাছার ছাল চামড়া উইঠা গেছিল আর হাঁটুভাঙ্গা দ এর মতো খোড়াইয়া খোড়াইয়া হাঁটতো,সে কার লাইগা ? গণতন্ত্রের লাইগা।সেই গণতন্ত্র কাইড়া নিছিল কে ? একজন স্বৈরাচার জেনারেল তো ? সেই স্বৈরাচার পতিত হইল। সেও জাতে উঠার লাইগা গণতন্ত্রী সাজে।সে ক্ষমতার অংশে থাকে।হোক না ছোট অংশ।নিবারণবাবুর ছেলে গণতন্ত্রের লাইগা অত অত্যাচার সহ্য কইরাও যখন জন্মগত দলের করুণাবঞ্চিত হয় তখন সে ফাড়িপথে হাঁটে।একদা যে তার পাছার চামড়া ছিলাইছিল সেই তার দলেই নাম লেখায়।কিজন্য?এই মধূর চাকের লাইগাইতো?আর কি আচানক কান্ড তার উদ্দেশ্য স্বার্থক হয়। জেনারেল মিয়াভাই তারে মান দিছে। তার দোয়া আশীব্বাদ তারে এমপি বানাইছে।
তবে আমরার এমপি সাব কিন্তু লোক ভালো ফরিদ ভাই।যত যাই বলেন।তারপর একটু লাজুক হাসি হেসে সামরান আলী আরো জানায়-একদিন এমপি সাব তার বন্ধুবান্ধবরে লইয়া আমার এই দোকানে বইয়া চা খাইয়া গেছে ফরিদভাই ।ঠিক আগের মতই তাইনেও আমারেও মান দিয়া কথা কইছে। আর কইছে সমস্যা হইলে তার কাছে যাইতে।
তুমি ভাগ্যবান সামরান ভাই।অখন কও আমরাও ভাগ্যবান।কারন আমরা যে দোকানে চা খাই এমপি সাবও সেই দোকানে চা খাইছে।ভাইরে এইখানো কেউ আছো নি এমন যে ইতিহাস লেখতে পারবা ? তাহলে সামরান আলীর চায়ের দোকান আর আমরার নামও ইতিহাসে থাকবো কি কও ?
ইতিহাসে থাকার আনন্দে নাকি ফরিদ আলীর রসিকতায় বোঝা গেল না তবে সকলেই হিহি করে হেসে ওঠল।