সামসুন্নাহার ফারুকের কবিতা
পরিপূর্ণ নিমগ্নতায়
ভীষন নেমেছে আষাঢ়
কাছে এসো, কথা বলোনা প্লিজ
আমাকে মগ্নিত হতে দাও
বৃষ্টির আছে এক ধ্রূপদী সুর
আমাকে উপভোগ করতে দাও
সুমধূর সেই অর্কেষ্ট্রা
তুমুল ভিজে যাচ্ছি আমি
দুর্দান্ত আষাঢ়ীর ঢলে
যেমন ভিজে যায় তৃষ্ণার্ত জমিন
জলোয়ার জল কোলাহলে
চাতক হৃদয় প্রাণ ভরে পান করে
আকন্ঠ পিপাসা
ঠিক তেমনই
তোমার ওই বিম্বোষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে
শুষে নেব যৌবনের সবটুকু নির্যাস
সুরভিত শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
নীরব ভালোবাসায় মগ্ন হতে দাও
শেষের কবিতার লাবণ্য হয়ে
আমাকে জড়িয়ে থাক
পরিপূর্ণ মাদকীয় উষ্ণতায়
ভলোবেসে মাতাল হব আজ
দেয়া নেয়ার পেয়ালায়
বিণিময় করে নেব অশান্ত হৃদয়
ভালোবাসার এখনই সময় ।
মিষ্টি মিষ্টি বৃষ্টি
জল থইথই অলস দুপুর
মেঘ বালিকার মিষ্টি নূপুর
ঝুমুর ঝুমুর বাজে
সেই সে ছন্দে
কি বা আনন্দে
শ্রাবণী আকাশ সাজে
বাজে রিমঝিম টিনের চালায়
কলমি ডগায় খড়ের পালায়
টাপুর টুপুর ধা্ঁচে
বিজলী চমকে
খুশীর চমকে
উড়ুখুড়ু মন নাচে
নাচে ডানা মেলে নাচে নটবর
কদম কেয়া ভেজে চরাচর
একলা দুপুর
মেঘলা আকাশ
ঝাপসা ঝাপসা দৃষ্টি
পড়ে টুপটাপ ঝরে ঝুপঝাপ
মিষ্টি ঘোরের বৃষ্টি ।
থাকতে আসেনি সে ও
কৈশোরকে হারিয়ে সেদিন
অনেক কেঁদেছিলাম
বুক ভেজানো কান্নার তোড়ে
ভেসে গিয়েছিল সই পুতুল
বৈচির মালা, রান্নাবাটির সরঞ্জাম
সদ্য ফোটা লাল গোলাপটি
মাথা তুলে কৌতুকে বলেছিল
” অমন করে পিছনে তাকাতে নেই ‘
সেদিন থেকেই ম্যাজিকের মতন
বদলে গ্যালো সবকিছু
সময় উড়ে চলল দারুণ গতিতে
যেন তার দশখানা পাখনা গজিয়েছে
ইমো ভাইবার মেসেঞ্জারে ননস্টপ
বকবকানী থামতেই চায় না
কৃষ্ণচূড়া দুপুর বিমুগ্ধ ফাল্গুন
ভ্রমরের গুনগুনাণী
হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লো
হৃদয়ের টপোগ্রাফিতে
আবেগের পরমাণু কণারা
বইয়ে দিল ঝড়ুয়া বাতাস
পেতে চাইল লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
তোমার স্পর্শের অগ্নিময় মাদকতা
তড়িৎ আলিঙ্গনে শুনিয়ে গেল
অস্থীর যৌবনের মাতাল পদাবলী
বুকের বোতাম খুলে বললে
ভীষন ভালোলাগার এই মিষ্টি ক্ষণটাকে
শুধুশুধু হারিয়ে যেতে দিওনা প্লিজ
মোহময়তাকে আষ্টপৃষ্ঠে বেঁধে রাখ
ভালোবাসার আলতামিরায়
সে ও কিন্তু থাকতে আসেনি
দেখনা ভাজা মাছ চুরি করে খাওয়া
বিড়ালের মতন
কেমন সে পালিয়ে যাচ্ছে ।