গল্প: টরেটক্কা

গল্প: টরেটক্কা

টরেটক্কা
সুদীপ ঘোষাল

ঋণে জর্জরিত গরীব মিনু দাস খুব চিন্তিত।রাতদিন তার বাড়িতে কাবুলিওয়ালা থেকে শুরু করে এলাকার মহাজনদের আগমণ।কেউ কেউ হুমকি দেয় খুন করার আবার কেউবা পিঠে দু চার ঘা বসিয়ে দেয়। মিনু দাস মুনিষ। এখন তার বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। শরীরটা তার, ঠিকমত না খেয়ে পাকিয়ে গেছে দড়ার মত। অবসন্ন দেহ আর বিষন্নতা তার সঙ্গি।তবু জীবনকে সে ভালোবাসে।সে বাঁচতে চায় হাজার বছর। পৃথিবীতে সে একা। অবিবাহিত, ভবঘুরে মিনু গ্রামে একটা মাটির ঘরে থাকে। এটা তার পূর্বপুরুষের বাড়ি। বাড়ির পাশে বাগান, তারপর একটা পুকুর। নানারকম পাখি,সাপ,ব্যাঙ,বুনোহাঁস, কচ্ছপ তার বন্ধু। কচ্ছপটার নাম টরেটক্কা। মিনু তার নাম ধরে ডাকলেই টরেটক্কা জল থেকে উঠে আসে, তার কাছে কিছু খেয়ে আবার জলে নামে।

মিনু দাস ক্লাস টুয়েলভ অবধি পড়াশোনা করেছে। তখন সে মাষ্টারমশাইয়ের কাছে শুনেছে কচ্ছপের কথা, কেন তারা এতবছর বাঁচে, তাদের কোন শ্রেণিতে ফেলা যায় ইত্যাদি। মাষ্টারমশাই ক্লাসে পড়াতেন, সরীসৃপের কথা।
তিনি বলতেন,কচ্ছপের শরীরের উপরিভাগ শক্ত খোলসে আবৃত থাকে যা তাদের শরীরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রক্ষা করে। কচ্ছপ পৃথিবীতে এখনও বর্তমান এমন প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি পৃথিবীতে রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি মারাত্মক ভাবে বিলুপ্তির পথে রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আহার্য হিসেবে গ্রহণের কারণে এটি বিলুপ্তির পথে। কচ্ছপ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তা নিজের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে, সাধারণত এ ধরনের প্রাণীদের ঠান্ডা-রক্তের প্রাণী বলে অভিহিত করা হয়। অন্যান্য প্রাণীর মত এরা নিশ্বাস গ্রহণ করে। কচ্ছপের অনেক প্রজাতি পানিতে বা পানির আশেপাশে বাস করলেও এরা ডাঙায় ডিম পাড়ে।কচ্ছপ সরীসৃপ বর্গের অন্তর্গত ডাঙ্গায় বসবাসকারী জীব। এদের দেহ খোলসদ্বারা আবৃত থাকে। খোলসের উপরের অংশকে ক্যারাপেস এবং নিচের অংশকে প্লাসট্রন , বলে।এরা কয়েক সে.মি. থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। এরা সাধারণত দিবাচর প্রাণী তবে তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তারা গোধূলীতেও সক্রিয় হয়ে থাকে। তারা সাধারণত দলবদ্ধ প্রাণী নয় এবং একাকি জীবন যাপন করে থাকে।

একজন বন্ধু জিজ্ঞেস করেছিল,এরা কেন এতবছর বাঁচে।
স্যার বলতেন,গ্যালাপাগোস জায়ান্ট টরটয়েজ প্রজাতির কচ্ছপ বাঁচে গড়ে ১৯০ বছর! বেঁচে আছে এমন দীর্ঘজীবী কচ্ছপের মধ্যে সবচেয়ে বুড়োটির নাম জনাথন। সেন্ট হেলেনার এই কচ্ছপের বয়স কত জানেন? ১৮৪ বছর! আর বেসরকারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি বয়সী কচ্ছপটির বয়স ছিল ২৫৫! ২০০৬ সালে সেটি জীবনের ম্যারাথনে ইস্তফা দিয়ে বিদায় নেয় পৃথিবী থেকে। কিন্তু কচ্ছপ কেন এত বছর বাঁচে? প্রশ্নটা নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞরা। উত্তর মিলেছে, তবে এখনো রয়ে গেছে অনেক রহস্য।
গবেষকেরা দেখেছেন, দৈত্যাকার কচ্ছপের শ্বাস প্রক্রিয়া খুব ধীরগতির। তার মানে এদের শক্তিও ক্ষয় হয় অতি ধীরে। সেই ১৯০৮ সালে জার্মান শারীরবৃত্তবিদ ম্যাক্স রাবনার প্রাণীর আয়ু নিয়ে একটা সূত্র উপস্থাপন করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল, প্রাণীর বিপাক প্রক্রিয়া যত দ্রুত, তার আয়ু তত কম। গত শতাব্দীতে এটা নিয়ে অনেক বিজ্ঞানীই মাথা ঘামিয়েছেন। অনেকেরই দাবি, এই সূত্র বা যুক্তি আমলে নেওয়ার মতো নয়। তাই এই সূত্রে আস্থা রাখেনি অনেকেই। তবে এই সূত্রের হাত ধরে ইংরেজিতে একটা প্রবাদই চালু হয়ে গেছে, ‘লাইভ ফাস্ট, ডাই ইয়াং’।
ম্যাক্স রাবনারের সূত্র অনেকে না মানলেও কিছু বিজ্ঞানী অবশ্য রাবনারের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। তাঁদের বিশ্বাস, প্রাণিদেহের মৌলিক কিছু উপাদান ও স্থিতিহীন অণুর সঙ্গে বিপাক প্রক্রিয়ার সম্পর্ক আছে। এই সূত্র ধরে এগোলে কচ্ছপের দীর্ঘায়ুর একটা সমাধান অবশ্য মেলে। ধীর বিপাক প্রক্রিয়ার কারণে কচ্ছপের শক্তি খরচ হয় কম। আর এ কারণে কোষের মৃত্যুর হারও যায় কমে।
বুড়ো কচ্ছপ প্রজনন করে না।
মিনু জানত,প্রাণায়াম আর বীর্যধারণ দীর্ঘ পরমায়ুর মূলকথা।

মিনু সকালে ওঠে, পুকুরে যায়, রান্না করে তারপর খায়। একবেলা খায়। আর খাওয়া জোটে না। মিনু বন্ধু টরেটক্কার সঙ্গে কথা বলে সময় কাটায়। পাশে বুনোহাঁস বসে থাকে,সাপটা সরসর করে সরে যায়, তেচোখা মাছগুলো তাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।
মিনুর মনে পড়ে না লাষ্ট কবে সে রান্না করে খেয়েছিলো। এখন সে টরেটক্কার সঙ্গে সাঁতার কাটে,তার খাবার খায় আর সারদিন পুকুরেই থাকে। মিনুকে গ্রামের লোক দেখতে পায় না। সকলের প্রশ্ন,ছেলেটা গেল কোথায়?
মিনু অনুভব করে একদিন তার আর মানুষের মত শরীর নেই। কেমন জলে সাঁতারকেটে বেড়ায়। টরেটক্কার সবকথা বুঝতে পারে। মিনু বুঝতে পারে সে আর মানুষ নেই, কচ্ছপে রূপান্তরিত হয়েছে। কি করে? তার মাথায় আসে না।
মিনু ভাবে,জল রূপান্তরিত হয়ে বাষ্প হয় আবার বাষ্পও জলে পরিণত হতে পারে। রসায়নাগারে বিজ্ঞানের সাহায্যে রূপান্তরের ক্ষমতা সে দেখেছে কিন্তু এখানে মনের ইচ্ছের ফলে রূপান্তর ঘটেছে।মানসিক শক্তি কিন্তু মিনুর গলার রোগ ভাল করে দিয়েছিল।
ইচ্ছেশক্তি থাকলে অনেক অসম্ভব কাজ সহজ হয়ে যায়।
লক্ষমাত্রা আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে প্রভাবিত করে, তখনও, যখন আমাদের পরিবারের কেও ক্যান্সার আক্রান্ত হন. এমনটাই হয়েছে শ্রেয় লয় এর ক্ষেত্রে, যিনি একজন ক্যাম্বোডিয়ার ব্যবসায়ী এবং নাকের ক্যান্সার থেকে সুম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন, এবং পরে জানতে পেরেছেন যে তার ভাইও একই রোগে আক্রান্ত. ” যা হবার, তা হবেই. যদি কিছু হয়ে থাকে আমরা তাকে পূর্বের অবস্থায় নিতে পারবোনা।আমাদেরকে এর বিরদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হবে।

গ্রামের সুদখোর সুরেশবাবুর নজর পড়ে মিনু দাসের বাড়ির উপর। একদিন বাড়ি দখল করার জন্য লোকজন নিয়ে রাতে সবাই দেখে, ঘরে একটা কচ্ছপ আর মিনু দাস বসে আছে। সুরেশ বললেন,তোকে আর দিনে দেখা যায় না, তাই ভাবলাম একবার তোর ঘরটা দেখে যাই। তা বাবা এই কচ্ছপ কি তোর পোষা। মিনু বলে,আমিও কচ্ছপ, এ আমার বন্ধু কচ্ছপ। লোকজন ওকে পাগল মনে করে পালিয়ে যায়। আর আসে না।
আসলে ব্যাপারটি হয়েছে কি এক প্রাণী থেকে আর এক প্রাণীতে রূপান্তরের ক্ষমতা বা কৌশল, মিনু করায়ত্ত করেছে। এখন সে কচ্ছপ কেন, সাপ,হাঁস ইত্যাদি জীবে নিজেকে রূপান্তরিত করতে পারে। এক একজন তো শূণ্যে ভাসতে পারেন, অনেক তান্ত্রিক অসম্ভব কাজও করে থাকেন। মানুষের ভেতর এক বিশাল শক্তি লুকিয়ে আছে তার নাম ইচ্ছাশক্তি। যে শক্তি অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার। এই অফুরন্ত ইচ্ছাশক্তিকে যদি সত্যিকারার্থে জাগ্রত করা যায় তাহলে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে হলেও বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব। অদম্য ইচ্ছাশক্তি সাফল্যের অন্যতম সোপান। অদম্য, অজেয় ইচ্ছাশক্তি যার রয়েছে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তারই সবচেয়ে বেশি। সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তিকে শক্তিশালী করা। কিন্তু অনেক সময় মানুষ তার ইচ্ছাশক্তিকে জাগ্রত করে না। নিজের ভেতরের ইচ্ছাশক্তিকে নিজের মাঝেই ঘুম পাড়িয়ে রাখে। নিজেকে ছোট মনে করে। না পারার ভয়কে জাগ্রত করে রাখে। অথচ নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে যদি জাগিয়ে তোলা যায় তাহলে যেকোনো সাফল্য অর্জন করা যায়।একটি প্রসিদ্ধ প্রবাদ বাক্য আছে, Where there’s a will, there’s a way অর্থ- ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। সেই আদিকাল থেকেই এ প্রবাদ বাক্যটা মানুষের মুখে মুখে চলে আসছে। ছাত্রছাত্রীরাও তাদের খাতায় এ বিষয়ে অসংখ্যবার ভাবসম্প্রসারণ লিখেছে। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই পাঠদান করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো ইচ্ছা নামক এই অফুরন্ত শক্তি প্রত্যেক ব্যক্তির মাঝে লুকিয়ে থাকলেও তার ব্যবহার লক্ষ করা যায় না। ইচ্ছাশক্তিকে ব্যবহার করে জীবন পরিচালনার উপায় তথা কাজের সাফল্যে পৌঁছার কোনো তৎপরতা অনেকের মাঝেই অনুপস্থিত থাকে। যদিও সঠিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করা এবং সে ইচ্ছাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সত্যিই কষ্টকর ব্যাপার। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি প্রবল হলে মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই।ইচ্ছা করলেই মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হয়েও সাফল্যকে ছিনিয়ে আনতে পারে। সেটা হলো নিজেকে দুর্বল না ভাবা, আত্মবিশ্বাস রাখা, ব্যর্থ হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা। নিজের মাঝে যে বিশাল ইচ্ছাশক্তি লুকিয়ে আছে এর ওপর অনেকেরই বিশ্বাস নেই। অনেকেই ভাবেন ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, এটি তার জন্য প্রযোজ্য নয়। যারা নিজের জন্য ইচ্ছাশক্তি প্রযোজ্য নয় বলে আলসেমি করেন তারা মূলত তার ভেতর লুকিয়ে থাকা অফুরন্ত শক্তিটাকেই তিলে তিলে শেষ করে দেন, ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। অথচ ইচ্ছাশক্তিকে প্রবল করেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লে ফলাফল বের করে নিয়ে আসা সম্ভব।

মিনু দাস বৈশাখ মাসে এক অমাবস্যায় তান্ত্রিকসাধক বিভূতিবাবার কাছে গেল। মিনু সব কথা খুলে বললো সাধককে।সাধক বললেন,তুই কচ্ছপ হতে পারিস? দেখ তো ঠিক এইরকম কি না?
মিনু অবাক। সাধক কচ্ছপ হলেন। আবার তিনি বললেন, ইঁদূর হতে পারিস?
মিনু দেখল তার সামনে একটা ধেড়ে ইঁদূর দৌড়ে চলে গেল।
সাধক নিজের আসনে বসে বললেন,লোকনাথবাবার নাম শুনেছিস?
– হ্যাঁ, বাবা
– তিনি তো বাঘ,কুকুর সবকিছুতে পরিবর্তিত হতে পারতেন।
– আজ্ঞে, চাঁদে আর পাদে। উনি হলেন মহাপুরুষ।
– সাধক হতে গেলে সরল হতে হয়। জীবকুলকে ভালোবাসতে হয়। তুই তো জীবে প্রেম করিস। যাঃ মেলা বকিস না। নিজের আনন্দ নিয়ে থাক।
মিনুকে চুপ করে থাকতে দেখে বললেন সাধক,পরমনােবিদ্যা বা Parapsychology নিয়ে আলােচনার গভীরে ঢােকার আগে Parapsychology-র বিষয়বস্তু কী? সংজ্ঞা কী? এগুলাে আগে জানা থাকলে পরবর্তী আলােচনায় আমাদের ঢুকতে কিছুটা সুবিধে হবে।যুগ যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মগুরু, পুরােহিত, ওঝা-গুণিন ইত্যাদির উৎপত্তি হয়েছে, হচ্ছে এবং জানি না আরও কত যুগ ধরে হবে। এই সব শ্রেণীর লােকেরা বারবারই নিজেদের প্রচার করেছেন, বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী বলে। আমাদের সাধারণভাবে পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক। বিশেষ কোনও কারণে ইন্দ্রিয় পাঁচের কম হতে পারে। কিন্তু পাঁচের বেশি হতে পারে না। এই পাঁচটির কোনও এক একাধিক ইন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনও কিছু অনুভব করি। ক্ষমতালােভী কিছু মানুষ নিজেদের ষষ্ঠ ইন্দ্রয়ের অধিকারী বলে দাবি করে। এরা তান্ত্রিক, ওঝা বা অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করেন। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা পাওয়া অতিরিক্ত অস্বাভাবিক ক্ষমতার নাম দিয়েছেন, ‘অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা’।Parapsychology বা পরামনােবিদ্যা গড়ে উঠেছে অতীন্দ্রিয় অনুভূতি জাতিস্মর ও মৃতব্যক্তির আত্মার সঙ্গে যােগাযােগকে আশ্রয় করে।পরামনােবিদ্যার ওপর গত কয়েক বছরে বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। সবগুলাে পড়ার সুযােগ না হলেও কয়েকটি পড়েছি। তাতে লক্ষ্য করেছি নতুন তথ্যের অভাব এবং পুরনাে তথ্যগুলােকেই বিজ্ঞানগ্রাহ্য করে তােলার চেষ্টা। পরামনােবিজ্ঞানীদের একটা প্রচেষ্টা বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতাে, তা হলাে, ওঁরা প্রমাণ করতে চান রাশিয়ার মতাে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদে বিশ্বাসী দেশের বিজ্ঞানীরাও পরামনােবিদ্যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বাসী।
মিনু সব শুনে আনন্দিত মনে বাড়ি ফিরে বন্ধু সাপের কাছে গিয়ে তার সঙ্গে খেলা করতে লাগলো।সে ভাবলো,ভগবান কত দয়াময়, তা না হলে চালচুলোহীন গরীবকেও তিনি অনেক ক্ষমতা দিয়েছেন।