রওশন রুবীর কবিতা

কোমল সারোদ, ভৈরবি বিহ্বল
তুমি তোমাদের নিয়ে ভেতরে যাও এক পোস্টারে;
একবারও নত না হয়ে পাপ আস্ফানে তরঙ্গিত হও।
তোমাদের ইঁদুর স্ব-উল্লাসে উল্লসিত ধ্বনি তোলে,
সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ছোটে।
যে যেভাবে পারে কেটে-কুটে নেয়।
আহা কত আর! এই কুট-কাট- চলবে?
তুমি ও তোমরা গর্বিত। এক ফু’, দুই ফু’, তিন ফু’ উড়ে।
মৌনতা বিঁধে। আমরা শুকনো।
বাহিরে তুষার ঝড়, ভেতরে অগ্নিবর্ষণ,
অন্যের কাপড়ের সাথে ঝুলে আমাদের জামা; রঙ-বেরঙের জামা;
ভয়ের তকমায় হীম পূর্বপুরুষের দৃঢ়তা সাহস দেয়।
তুমি ও তোমরা ধবধবে, অথচ উন্মাদ।
বিষে ও বশে প্রেম চিরকাল উন্মাদ জেনে-
আমরা দেখি দেয়ালগুলোতে বন্দী পোস্টার
রোজ- ঠাণ্ডা হয়; কাতরায়।
এখন পর্দায় কোমল সারোদ, ভৈরবি বিহ্বল,
বুকে জন্মানো চারাগাছ ও বৃক্ষে ক্লোরোফিল বেদনা।
সকাল ডেকে বলে
আমি আর আসবো না শীত বসন্তে জেনেই
একমুঠো রোদ পাঠালাম, শস্যে ভরে যাবে ক্ষেত
রোদ্দুরে মেখে নিও নিটোল সরোবর
আসবো না জেনে নিও খাল-বিল, বৌছি, গোল্লাছুট,
জেনে নিও- স্মৃতির দোলনা অতি-প্রিয় সর্ষে-পরাগ, গোলাপের খাম, বয়স বাড়তে থাকে যতিচিহ্নের,
বেড়ে যায় নির্লিপ্ত স্বপ্নের, আমার স্বপ্নরা তারুণ্য ছোঁয়, ছুঁয়ে যাক, ছুঁয়ে যাক।
শৈল্পিক মেঘে আচ্ছাদিত পরানের মাঠ
আছি আমি ইতিহাস ভূগোলে,
যেখানে রোজ নেমে আসে জাফরানী রঙের ঘুম,
তোমাদের নিমগ্নতায় শিলাবৃত্তের পাহাড় ভেঙো না,
পাঠ করো মগ্ন গ্রন্থের গ্রন্থিল শব্দ, আমাকে ছুঁতে চাইলে শার্সি খুলে দিও, অরণ্যকে বলো খোপা খুলে দিতে, হাতছানি বুকে চেপে লিখছি হরেক,
একাগ্রতার চন্দন মেখে দেখো প্রতিচ্ছবি
যদি একটি সকাল ডেকে বলে-
চলো সূর্যের মায়া ছড়ানো দিগন্ত ছুঁয়ে আসি।