জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
ছায়া
থেমে গ্যাছে কৌতূহলী পথ
মুগ্ধতা রেখেছি লালফুল
মোরাম বিছানা জানে
তুমিও জানো এখানে সেই
মায়াছাপ চিবুক-তিলের গৌরব।
ধূসর পাতার মতো ইচ্ছেরা
কচ্ছপের জরুরি সময় নিয়ে
গর্তে রাখে আগামী সঞ্চয়।
সংশয়
দরজা আগলে দাঁড়ালেই প্রহরী —
সিদ্ধান্তটি ভ্রান্তবীক্ষণ হতে পারে।
গ্যারান্টি যারা দেয় সার্ভিস চাইলে
হামেশাই তারা দেশান্তরী হয়।
কেউ ছলনাগৌরবে সেলুলয়েড মুখ
রেশমি চুল ও টাকের সম্পর্ক ঠিক
গ্লাস আর জলের মতো — না জানলে
পস্তাতে হয় আর এটা ভোলা চলে না
কপাট আর কপাটঘ্নের কোণ ১৮০°।
কেবল মাস্কটা চিনে নিতে হয়।
ভালোবাসা
প্রেম শব্দটি লেখার জন্য কোনও কবিকে লাগে না
তেমনই প্রেম আঁকতে কোনও শিল্পীকে চাই না
নিজেদের জমি ভেবে তাঁরা শ্লাঘান্বিত হলেও
ধ্রুবত্ব হারায় না।
কোনও আনাড়ির প্রেম ব্যাকরণ মানে না
লিঙ্গ আর ফ্যাক্টর নয়
একটি মানসিক রোগলক্ষণকে ধ্রুবত্ব দিতে
অনেকেই অপারগ।
দেহাতীত নামের গালভরা শব্দটি আস্তাকুঁড়ে
ইঁদুরের কামড় খেতে খেতে ছিন্নভিন্ন
মন নামক গিরগিটির রং বদলকে পণ্ডিতেরা
স্বাভাবিক বলতেই পারেন তবে যে দার্শনিক
উনিশশো পঁচাশিতে
ভালোবাসা মানে ঘৃণা — তত্ত্ববোমাটি ফাটিয়ে
ড্রাই-এগজিমা পাউডারে ছত্রাক মারেন
তাঁর তত্ত্বটির কী হবে?
উত্তর জানলেই হয়তো খুলে যাবে ফুলের দরজা।