নিমাই জানা’র কবিতা

নিমাই জানা’র কবিতা

আগুন স্রাব

শোক দাও মৃত অর্জুন গাছ
শেকড় থেকে আগুনের উৎস্রোত আমার শুকনো ঠোঁটে গীতাঞ্জলি পড়বে
রক্ত নাও আমার ডান নিলয়ের
যেখানে বাবা পাশ ফিরে শুয়ে থাকে অ্যাসপিরিন লোনা সমুদ্রে
নীল ঘোড়ারা অভুক্ত থাকলে ও বাদামি দানাশস্যের জন্য ঘুরে দেখবে না আস্তাবলের ভাঙ্গা বেড়া
আমার উঠোনের ঈশান কোণে খই গাছ বেড়ে উঠছে সাদা ফেনার মতো
ইতিহাসের ছাত্র ভীষণ অবশেসানে ভুগছে
মায়ের মৃত স্তন,পতন সাম্রাজ্য আর ভূমি রূপ কোন দিন সিলেবাসে থাকে না

সিলেন্টেরন

আমার ছেঁড়া জামার ভেতর একটি কালো মানুষ দাঁড়িয়ে আছে
বোতাম থেকে জাহাজের শব্দ শুনলে অনেকটা লিমেরিক শোনায় আমার হৃদস্পন্দন
এখন চাঁদের মদ খাওয়ার সময়
যে কেবল টালমাটাল পথে অনেকগুলো জেব্রাক্রসিং পেরিয়ে যাবে দহনের নাব্যতা ছুঁয়ে
শহরে এখন তীব্র শীত কাল
শুধু ঘাম দেয় ভোররাতের দিকে
রাত্রি টুকু কুকুরের তলপেটেই কেটে যায়

পুরুষ মুল ও ঈশ্বর

ঘরের কোণে লাল শাড়িটি জন্মঘর তৈরি করছে টেবিলের ফরসেপ আমার ডিডাকশনের সংক্রমণ খুঁজছে হন্যে হয়ে
নরখাদক আমি
কৃষ্ণ আমি
ভীষ্ম আমি
গঙ্গা জল ঢেলে খাই গভীর রাতে
নীল রঙের ঘুমের ওষুধ আমাকে ক্রমশ শূন্যের কাছে নিয়ে যায়
জটিল মৃত্যু পাথরকুচি পাতার নিচে লুকিয়ে থাকে পত্রজমূলে
২রা মার্চ একটি উদযাপন হতে পারে আদর্শ শ্রাদ্ধাদির

হলুদ নাব্যতা

নদীটি নারী হলেই তাঁতশাড়ির আঁচলের নিচে বসে থাকি শুদ্ধ ৫ দিন
শালবনের অজস্র হিজল পাতা আমার মাথায় মারাংবুরুর সিঁদুর হয়ে ফুটে থাকে ,
কোকরাঝাড় আমার শরীরে দহন বোঝে , ঈশ্বর নারীটির গায়ে অজস্র সাঁওতালের শিরাবিন্যাস হলে ভালো হতো
আগুনের দরকার
কলাপাতার নিচে নারীটি আত্মহত্যা করলে অন্তর্বাস বুনোফুল হয়ে চোখের তলায় ঝুলে থাকে লাল রঙের মাশকারা
নদীর গভীরে দুহাতে লোধাসুলি জঙ্গল খুঁজছি
আত্মহত্যার উৎস কেন্দ্র