অশোক অধিকারীর কবিতা
নিভৃতবাস
একা একা চলেছি
একাই
মনের ভেতর মরমে মরে যায় খেদ
হাতগুলো এপাশ ওপাশ নীরব
ডাকে সাড়া নেই
কতগুলো মরুভূমি পেরিয়ে মানুষ পাবো
অবিকল মানুষ
কাজের মেয়ে
রোজ কাছে এসে বসে
চোখ দিয়ে স্পর্শ করে স্নেহ
স্নেহ অতি বিষম বস্তু তাকে না
দেখলে বোঝাই যায় না
রাত ঘুমে তাকে হাতড়াই
সকালগুলো এখন বড়ো দেরি করে
রোদ উঠলে বোঝা যায় সে এল
পুবের কপাল তার লাল
টবের গাছ
হাওয়ায় ভাসছে তার গন্ধ
আমি তার করুণা ভিক্ষে করে পায়ের
কাছে বসে আছি
কী নিবিড় তার হাওয়া চুম্বন
কী গভীর সান্ত্বনায় তার কাছে যত
অসুখ জমা করে আসি
আমার পথ্য তার ফুলের কলস
আমাদের গায়ের ওপর আরোগ্য সেতু
ছুঁতে চায় অনেক জীবনঃ
জীবন্মৃত
ছাই স্পর্শ করতেই সে হাত গুলো
দিয়ে আমাকে জড়াতে চায়
যত বলি,এই নক্ষত্রের রাত এই
বনজোছনা একদিন আমাদের ছিল;
গায়ে মেখে শুতে যেত পরিযায়ী পাখি
এখনও কী জ্বর গায়ে উঠে আসে ভোর
তোমার হাতের চেয়ে ঠান্ডা স্মৃতিকুণ্ড
উঠে এসো ভিড় ঠেলে; তোমার গায়ের
যত গরম মুছে দিয়ে আবার জন্ম নেব
সংলাপ
কী চেয়েছিলে…
কিছু নয় একটা জীবন
একটা মরণও কি চেযেছিলে
সম্পৃক্ত ভাবনা গুলো বিষাদময়,বড়ো
একা করে মুমূর্ষু করে দেয় মৃত্যুর আগেঃ
কী চেয়েছিলে;
সন্তানের পাশের বালিশে কতগুলো কথা
রেখে গেলে আর বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না
আর কত মুখ অন্ধকারে আঁকলে বলা যাবে
পৃথিবীর মধুরতম শব্দ বেঁচে থাকা
যা আজও আয়ত্ত করা হয়নি