মহুয়া চৌধুরীর কবিতা

মহুয়া চৌধুরীর কবিতা

নাম

ভুল না শুদ্ধ বোঝার আগেই শেষ
তার কাছে রাখা আছে এক টুকর
অবেলার সঞ্চয়
গানের সঞ্চারী কথা।
তারপর পৃথিবী জুড়ে অনেক বৃষ্টি
রাইকিশোরী মূর্তি ভেঙে দেয়।
আঙ্গুলের ভেতর খচখচ সেফটিপিন এর স্পর্শ
এভাবেই হয়তো শেষ হয়ে যায় একটা খই ছড়ানো পথ।
পড়ে থাকে গাছ আর ঝরাপাতার মাঝখানের সময়
তোমার নাম জানা হয়নি।

কেমন আছো

শূন্যের ভেতর শুধু খুঁজি কিছু একটা
অচেনা ফুলগাছ বা নতুন শহর
হয়তো কিছু অবুঝ পানা।
তাও কি বোঝার কম ইচ্ছে ছিল
মন্দিরের ঈশ্বর বা মসজিদের আজান।
তুমি বলতে ধর্ম একটা নির্দিষ্ট নিয়ম
সব সময় মেপে।
সাইনবোর্ডে লেখা আছে নাম আগমনের সময় শুধু লেখা নেই অপেক্ষার শেষ মুহূর্ত।
কেমন আছো
শতাব্দী কঠিন প্রশ্ন।

কথা কিছু

এমনি এমনি কিছু কথা জমে থাকে তারা ধ্বনি তোলে। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে রোজ দেখি ক্লান্ত পাখিরা ছোটাছুটি। শহরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে সরু নদী। ঈশ্বরের মত একটা দিন ফুটপাতে ভিড়।
এখন নাকি কথারা মুহূর্তে সমুদ্র পাড়ি দেয়। এখন নাকি বাতাসে ভালোবাসা ছড়ায়। তাও কত না বলা কথা বুকের ভেতর জমাট বাঁধে। তুমি আমি দেখতে পাই বা পাইনা। আইলাইনারের তলায় ঘুমন্ত যন্ত্রণার মিছিল। লিপস্টিকের আড়ালে সারিবদ্ধ না বলা কথা।

যাপন

নীল ভালোলাগা এসে বসে সবুজ ঘাসের ওপর। শাপলা নরম হয়ে ফুটে ওঠে সবগুলো স্তর।
চোখের আলোয় ব্যস্ত মন ইথার এর আমন্ত্রণে।তাও শান্তির খোঁজে ডানা গুটিয়ে বসে একফালি আঁধার। মিটিমিটি আলোয় পাহাড়ি মেয়ের শরীর আর বিদ্রোহী মনএর উত্তাপে ভাতের হাড়িতে ফুটছে। এভাবেই পৃথিবীর চারিধারে প্রদক্ষিণ করে স্বপ্ন আর বাস্তবের আটপৌর সময়। অভ্যাস গচ্ছিত হয় তার ডানায়। টুংটাং জল তরঙ্গ স্টিলের পাত্রে।
যাপন ভেতর ডুবে থাক এক টুকরো জিপসি মনের শরীর।

খেলা

কাঁসার জামবাটি সারাটা গায়ে জমাটবাঁধা আধার। স্তরে স্তরে বাসা বেধেছে কঠিন যন্ত্রন।
চোখ আছে দেখার ইচ্ছে নেই। স্থাপত্য এর গা থেকে খসে পড়ছে কষ্ট। তাও জোনাকি আলো সারা গায়ে ভালোবাসা হয়ে জলে। সেই মুহূর্তে গাছেরা সবাই মিলে রাগ সাধনায় আর নদীর কথক । এসব দৃশ্য সবাই দেখে না ।নীল আকাশ আর সবুজ মাটির আদিম খেলা।