দালান জাহানের কবিতা
সাধারণ অশ্রু জং
একটি জং ধরা লোহার পাতে
জমাট বেঁধেছে আয়রন অক্সাইড
আমি সিরিষ কাগজে ঘষে-ঘষে
পরিস্কার করি তার রক্তদলা।
এদিকে সূর্য ও সন্ধ্যার মাঝখানে
হা-মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা
শিম্পাঞ্জি ও শয়তানের মুখগুলোতে
জমাট বেঁধেছে সাধারণ অশ্রু ঝং।
আমি প্রতিদিন লোহাটাকে
এজন্যই শানিত করি
যেন কেউ না কেউ এসে
একদিন তাদের মুখ ও মুখোশ
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পরিস্কার করতে পারে।
হেমন্ত ছাড়া বড়ো কোনো ক্ষতো নেই
হেমন্ত ছাড়া আমার কোনো বড়ো ক্ষতো নেই
আমি তো হেঁটে যেতে চাই সে ধান কাটা মাঠ সন্ধ্যা
রাতভর আকাশের নীরব কান্না শান্ত শিশিরের জল
বঙ্গ-বধূর আঁচল ভরা ক্লান্তির অনল।
হেমন্ত ছাড়া আমার কোন ভালো স্মৃতি নেই
আমি তো খুঁজি বিজন মাঠে সে শালিকের রাণী
দীঘির মাংসে মিশে যায় কুয়াশার অন্ধ অসীম
আমি বহন করি হিম হেমন্তের শুধুই হিমে কাঁপা ডিম।
হেমন্ত ছাড়া আমার বড়ো কোন কষ্ট নেই
ঘাসফড়িংয়ের মাথায় শুয়ে সেই হেমন্ত রাত
রজনী ফুঁড়ে ঢেলে দিয়েছে পূর্ণিমা ধবল দুধ
আজও ভেতরে হেমন্ত নেয় প্রবল প্রতিশোধ।