পার্থ সারথি চক্রবর্তীর কবিতা

পার্থ সারথি চক্রবর্তীর কবিতা

ভীড় করে আসা ভাবনারা

আঠারো-

এক অচেনা কুয়াশা ঘিরে রেখেছে চারদিক
সবকিছু যেন প্রায় রাতের মতোই অন্ধকার
শুধু দূর থেকে ভেসে আসে এক
গানের সুর
সেই সুরে ভর করে বেয়ে উঠছে,
আমার বুকের সিঁড়ি, উপরের দিকে-
আমি হাত ধরতে চাইছি তোমার
অবলম্বন
গল্পের উপসংহারের মতো ইতি টানার অপেক্ষায়
কেন জানিনা, কুয়াশা গাঢ় হলেও
আবার কিছু অপ্রিয় জিনিষ ভেসে আসে চোখের সামনে

উনিশ-

রাতে পাখিদের কি আওয়াজ শোনা যায়!
সম্মিলনের প্রস্তুতি কি নীরবে সারে তারা
যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ভোরের কলকাকলিতে!
আমি তো ঘুমিয়েও সেই স্বপ্ন দেখি
বিভোর হয়ে থাকি, আবিষ্ট থাকি কলতানে
সুর্য যখন অস্তাচলে, ঋষি তখনো ধ্যানমগ্ন
মোক্ষলাভের অক্লান্ত চেষ্টায় সবকিছু ভুলে গিয়ে
সঁপে দেয় অপার্থিব ইথারতরঙ্গে
আমি তখনো বসে থাকি গাছের নীচে
কনসার্টের মহড়ার দিকে তাকিয়ে থাকি
আকুল নয়নে
ঝালিয়ে নিতে থাকি ঐন্দ্রিক অনুভূতি
জাগতিক আগুনের আঁচে, পাখি জীবনের
আরাধনায় মগ্ন থাকি

কুড়ি-

বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়
বারুদের গন্ধ, নাকি অবিশ্বাসের!
মাতৃভাষার জন্য, তার মর্যাদার জন্য-
যারা প্রাণ দেন; তাদের রক্তে আজো দেখি
লাল হয়ে আছে নদীর জল, পাড়ের বেলাভূমি
হৃদয় থেকে তাও ওপড়ানো যায় নি
শ্বাসের ভাষার প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস
হাজার বুলেট, বেয়নেট সত্ত্বেও!
প্রতি হাড়ে লেখা আছে মাতৃভাষা,
রক্তধারায়
মায়ের মুখের মিষ্টি ভাষায় ভেসে যাবেই সব অবিশ্বাস
কোন এক হলুদ ভোরের প্রতীক্ষায়