সোনালী ঘোষের কবিতা

ডিমনেশিয়া
একেক সময় বড় ফিরতে ইচ্ছে হয়
ঐ মুখের কাছে কত কিছু ফেলে গেছি
কোন কাজে তখন মন বসাতে পারি না,
মাঝে মাঝে ই হারিয়ে যায়
মধ্যবিত্ত মন।এ সময় পিছুটান গুলো ছেড়ে যায়,
নদীর পাড়ে বন্দী করে নেই নিজেকে, শরীরের আকৃতি বদলে ফেলি
ঝাঁপাই একটা নিয়তির বুকে
আর বিশ্বাস করতে চাই
পৃথিবীর সব রোদ কেবল তোমার মধ্যে নেই…
বীতশোক
আমার আর তাড়া নেই কোন
যা কিছু সঞ্চিত, তাকে আর পারি না চিনতে
এখন নিশিথের কাছে শুধু মন্দ্রিত কিছু ক্ষণ চেয়ে চেয়ে মরি
এ শরীরের প্রতিটি মুদ্রার ভাঁজ থেকে
ঝেড়ে ফেলি অভিনয় টুকু
হে অনঙ্গ আঁধার, তুমি তো জানো
কত মৃত্যু বার্ষিকী পেরিয়ে এলে
বীতশোক হওয়া যায়…
সিম্বল
কেনো অজুহাত আসে
অভিমানী মন শুধু ডুব দেয় নিঃশেষে।
মৃত্যু খুলে রাখি, জ্যোৎস্নার পায়ে, কেতকীর বনের ভেতর
কে যেনো রেখে গেছে তীব্র উগ্ৰ বিষের পাহাড়
এসব অঘটনের ভেতর কাটাকুটি টানি
মুছে দেই চুম্বনের দাগ…