নিবিড় সাহার কবিতা
খোলস
এক অনাহুত সুরক্ষা বলয়ে
অভ্যস্থ অভ্যেসের দাসত্ব,
আশংকিত মেঘলা আকাশের নিচে l
স্থবির আদ্রতার ভ্যাপসা আবহে,
বর্ণ, গন্ধ, ছন্দ, স্রোতহীন ভাটায়
ভেসে আছে প্রাণহীন বধির খোলস l
তুমি বৃষ্টি ভেজো শহরের পথে,
সূর্য্য ওঠা ভোর হয় শিশির ভেজা ঘাসে,
ঘরে ফেরা পাখিদের সাথে
সূর্যাস্ত দেখো অচেনা নদীর পারে l
তুষারপাতের ছবি পাহাড়িয়া রাতে,
শাল শিমুলে ঘেরা সন্ধ্যা কোনো
রুপোলি আলোর মাঝে নেশায় অলস l
এই দ্রোহকালে দূরত্ব আমার ভিতর ,
তুমি আর আমার খোলস l
অসহায় চাঁদ
অসহায় মুহূর্তরা …
গ্রহণের চাঁদের মতো,
রাহুর কাছে আত্মসমর্পনে
জমা রাখা জোৎস্নার সুখ l
শোকাচ্ছন্ন আকাশের গায়ে
অশ্রুবিন্দু তারাদের ভিড়ে,
ক্রমশ হারিয়ে যায়, এক
অক্ষম, অসহায় মুখ l
দহন
লক্ষ লক্ষ মোমের আগুনে
গা সেঁকা হলো,
দিস্তা দিস্তা কাগজে উগড়ানো ক্ষোভ l
তবু চোয়াল শক্ত হয়না,
দেওয়াল আর পিঠের মাঝে
এখনো কিছু আসক্তি রয়ে গেছে,
এখনো চরণামৃতে বেঁচে থাকার লোভ l
ভিতর ভিতর একটা দহনে
বহন করা স্বপ্নের দাহ,
তবু ঘর দোর সব সাজানো পরিপাটি l
আমার ভ্রষ্ট লক্ষ ছুঁয়ে আছে
কড়ির থালা আর কাঁচের গেলাসে,
নরম আয়েসি শয্যায়,
ঘুমের মাঝে ফেলে আসা পথ হাঁটি l