জহুরুল ইসলামের কবিতা

ডুবোনদীর ঢেউ
মায়াবী চোখের জলে ডুবে আছে নদী,
এ ডুবোনদীর দৃঢ়
জ্যামিতিক ঢেউ- আরো উথাল পাথাল।
আঁখির কাজল ধুয়ে গেছে
ভাদ্র পূর্ণিমার রাতে।
তখন থেকেই
দক্ষিণের মিহিন বাতাস
সকরুণ বাজে।
নদীর জলের ঘ্রাণ নরম বাতাসে
ভেসে চলে
ঝাউবনের পেটের ভিতর।
এখন নদীর জোয়ারের
কাল-
এই ভাদ্র পূর্ণিমায় ফুলে ওঠে নদী…
দুঃখগুলো
দুঃখগুলো গলে পড়ে
আকাশ পাড়ায়।
দুঃখগুলো-
সুতায় বেঁধে উড়াই নীলে।
কথার ফাঁকেই ঢুকে পড়ে
বসত ভিটায়.
বুকের ভিতর দীর্ঘশ্বাসে।
বুক পকেটের
ভাঁজের ভিতর শুয়ে থাকে,
ঘুম আসেনা দুঃখগুলোর।
দুঃখগুলো-
বুকের ভিতর
বেড়ায় ভেসে ঘুড়ির মতো।
সে যেন লাজুক নক্ষত্র
এ যেন ডালিম দানা- সে লাবন্যে ভরা,
হাত বাড়ালেই মনে হয়-
অনন্ত দূরের সেই লাজুক নক্ষত্র।
সে কেবল রাতে আসে,
ওই শিউলি ফুলের মতোন;
সুবাস ছড়ায়
বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে।
ভোরের আলোয়
সে মিলিয়ে যায় দূরে…
ফিরে চলো যমুনার ঘাটে
চোখের দু’ফোটা জল গড়িয়ে গেছে উপত্যকায়,
তবু চাইনি ফিরে
গোলাপের দিকে চোখ তুলে।
শীতের হাওয়ার মতো কাতর হৃদয়
উষ্ণতা চেয়েছে,
ঈষৎ গাঢ় উষ্ণতা-
যেন বিচিত্র বর্ণালী ভেসে ওঠে বুকে।
তুমি ঝুম বৃষ্টিতে বটের মতো নির্বাক দাঁড়িয়ে-
তারপর-
আধখানা চাঁদের মতোন চোখ তুলে বলেছিলে,
ফিরে চলো যমুনার ঘাটে।