অনঞ্জনের কবিতা

অনঞ্জনের কবিতা

চাঁদচকোরে

চাঁদকে বিরহে ভাসিয়ে নদী হিমেল হাওয়ার কাছে যায়,
মেঘাঞ্চলে আড়ি পাতে চাঁদ, নদী তো স্রোতস্বিনী- বহতা,
হিমেল হাওয়ার সঙ্গেই সে বহে চলে চাঁদকে চিন্তায় রেখে,
কোমলচাঁদে ফুটে ওঠে রক্ত; নদী কখনো একলা থাকেনা-
হিমেল হাওয়ার পর আসে অরণ্য, ছুঁতে ছুঁতে চলে সেও,
জ্যোৎস্নারাঙা বুকে অরণ্যের ছায়া দেখায়, বলে চন্দ্রঋণ,
মুগ্ধ অরণ্যও সে অন্তহীন জলে নিজের ছায়া দেখতে থাকে;
অরণ্যকে ছেড়ে নদী মাঝিকে নিয়ে পড়ে, ভাটিয়ালি টানে;
যত ডোবে চাঁদ ততই দহন, ঘনঘোর জ্যোৎস্নারাতে
সারারাত কণা কণা রক্তে ভেসে যেতে যেতে চাঁদ থামে,
একটিবার ছুঁয়ে দেয় নদী, সব অশ্রু ধুয়ে যায় জলে,
নতুন বৈভবে চাঁদ- কেঁপে কেঁপে ওঠে জ্যোৎস্নাচরাচর।

বৃথা-চতুরঙ্গ

মাভৈ যুদ্ধে চতুরঙ্গে ফিনকি দেওয়া ছকে
কতোনা রথী-মহারথী;
তবু আমার লড়াই, নিরঙ্কুশ সে মন্ত্রী-
ভীষণ ছকে তীব্রগতি!
মন্ত্রী-গজে ধ্বংসলীলা ছকের দখলদারি,
নৌকোই বা কমটা কিসে;
আমার সেনার দলে, কামাল আড়াইচালে
ঘোড়া সটান কিস্তি কষে!
দাপট যে ত্রাহি ত্রাহি, এমনসময় তাকাই
ভিতরপানেই সোজা-
কাকে আমি রক্ষা করি, সে চতুরঙ্গে আমার
ছিলনা কোন রাজা।