মো. আরিফুল হাসানের কবিতা

সন্ধ্যার তাওয়াজ্জুহ
কক্ষপথে ঘুরে বেড়ায় মানবের অস্তিত্ব যেনো
ফাগুনের শেষ রোদ শুষে নেয় মাঘের কিরণ
দাতব্য জেনারেল স্টোর উপড়ে ফেলে লালা
বিহঙ্গের পাখা ধরে বসে আছে আধমরাপ্যাঁচা
সোনালুর মাঠ ভরে জমজের স্নিগ্ধমাতরেখা
তারাদের দেশে থাকে মাঙ্গলিক প্রভূত চরণ
আশেকের দিলে ঢেউ উছলায় বসন্ত—শীতে
পাখিদের গীত নেই হার্ডরক মরা পৃথিবীতে।
শালিকের চোখ থেকে তুলে নিয়ে চাঁদের প্রসূন
বিভূতি জরায় বস্ত্র আক্ষেপের সর্ব অঙ্গজুড়ে
দোটানায় পড়ে থাকে মাঘরাত, অজস্র ফাগুণ
তালকীন দিতে থাকে নবীজীর একান্ত দোসর
সন্ধ্যার তাওয়াজ্জুহ ছাপ ফেলে তূরের চূড়োয়
প্রমিত বিরল রাগে সাকী তার হৃদয় জুড়োয়।
নিঃশব্দ হয়ে এলে
নিঃশব্দ হয়ে এলে পৃথিবীর কোমল বাতাস
ব্যাথাহীন জল পড়ে ঘন-ঘাসে প্রেক্ষা যমুনায়
ঢেউয়ে দোলে দাঁড়হীন উত্তুঙ্গ নাবীকের শ্বাস
দ্বিধাহীন প্রাণে তার নেমে আসে রাতের আকাশ
স্তব্ধতার বোধিবৃক্ষে শুক ডাকে সাপেদের স্বরে
বিরাণ মাঠের শেষে ঘন বন উছলায় ঝড়ে
পড়ে থাকে শূন্য মধুপ, মধুকর যায় ফুলে
আগন্তুকের মতো শীত আসে পাখিডানা ছুঁয়ে
বাজিকর ফাদ পাতে নূপুরের ঝংকৃত শোভা
সখের করাত কাটে দিনরাত মানব প্রতিমা
দিবসে চলিষ্ণুরূপ নিশি-যামে লুকায় কুহক
শষ্যের আরাধনা পড়ে থাকে মাটির মায়ায়
জড়িয়ে নিয়েছে হীম এ রাতের নগর কানাই
বিসমিল্লাহ খান নেই, তাই আর বাজে না সানাই
মাতাল, পাখি ও কবি
নিঝুম ঘুমের দেশে তুমিও বেহাল
তালহারা হয়ে আছো অচেতনবৎ
স্বরূপ সন্ধান করে কূলের আকাল
পৃথিবীতে শোকশূণ্য হৃদয় তাবৎ
পরিযায়ী পাখিদের স্থিরচিত্র নেই
অনেকটা নতুন পথ অগ্নি-বলাকা
ডানার দ্রোহের যোগ -দগ্ধ প্রাণেই
জ্বলে উঠে স্ফুলিঙ্গ বারুদ শলাকা
এ তিমির, এই ঘুম স্মৃতিবিষ হয়ে
রয়ে যাবে নাগরিক দহণের ছবি
মদ্যপ রথ খুঁজে নিজে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
পরিযায়ীপাখিদের ডাকনাম কবি