বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা

ঋতু
কাকে খুঁজে বেড়াচ্ছো তুমি
প্রচ্ছন্ন কলোনির ঘুম, ভাঙা সাঁকো
তারাদের পাপে ধরা গুমটির ঘর
ঘাতচন্দ্র, একফালি আলো
কাকে ছড়িয়ে দিচ্ছো তুমি
পুরোনো গাঁটের আওয়াজ
শ্যাওলার মানতের থানে
নসীবের ছাঁচ …
এর চে বরং কথার শিবিরে এসো
সব নির্বাক যাক অন্য শিবিরে
ঋতুর তারতম্য ভেদে গাছের শরীর ছেড়ে
বাকলেরা যেরকম পৃথগন্ন হয়ে যায়
যেখানে তোমার বাড়ি
ভাঙা সাঁকোটির গায়ে
হেলে পড়ে আছে মনমরা নদী
বিবাহবিচ্ছিন্ন চরপুরুষের বালি
শীত এসে চলে যাচ্ছে এই বিচ্ছেদ
থেকে দুরে, যেখানে তোমার বাড়ি
এই থেকে মনোবিকারের দিনে
এসে জড়ো হচ্ছে বালিহাঁস শিকারের স্মৃতি
ধোঁয়াটে নলের মুখ, পাখিদের ফ্ল্যু
প্রবল শৈত্যপ্রবাহ মোড়ানো ঘুমের পোশাকগুলি
মেরুপ্রদেশের নিস্তব্ধতাগুলি এই অব্দি
এসে ফিরে যায়- তারা জানে
অপসৃয়মান তোমার যেটুকু ছিলো.. সেটুকুই এ গ্রামের একমাত্র মেঠোপথ
রাতের বাতাসে
নির্ধারিত পচনের আগে ঘুম পাড়িয়ে রাখা
কাদামাটি,বায়োফ্রেন্ডলি মৃত মাংসের মতো
তাতে মিশে আছে পাড়াগাঁর মাসিপিসিদের
গান,মাহ শ্রাবণের পুঁথি….
সাঁকোর দুদিকে দুটি গল্পের পৃথিবী
জোড়া লেগে থাকা উপমার দেশ
সামানুপাতিক তাতে ভাগ হয়ে যাচ্ছে
কোষকলাগুলি
রাতের বাতাসে তবে কাকে
ফুঁ দিয়ে যাচ্ছে একটি বাঁশি
ভাগাড়ের মেমব্রেন ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে
ঠাট্টা বোঝাই সব মরনোত্তর ট্রলি