টিপু সুলতানের কবিতা

টিপু সুলতানের কবিতা

পৃথিবীর পথে পথ হাঁটে

তোমরা প্রেমে পড়লে কোথায় দেখা করো

পুরোনো বাড়ির চিলেকোঠায়
নাকি আগুন চোখের নিচে…
চোরাই হাওয়ার বনে নাকি
শেকড় গোঁজা ঊরু বোনা-ঘাসে
মেঘের বাড়ি যাও নাকি
অন্য কোথাও কিংবা বনফুলের কাছে?

এত দেখা যায় না কোনো মতে
পৃথিবীর পথে পথ হাঁটে
হাজার বছর ধরে পায়ের প্রচ্ছায়া
নতুন করে জেগে ওঠে প্রার্থনার মতো।

একছটাক শব্দ

খোকার মা,তোমার খোকনকে বলে যেও
আমাকে যেন একজোড়া সুস্থ পা দেয়
আমি অনেক দূরে চলে যাবো,বহুদূরে-

নগরে আদমশুমারী

শীতের বৃষ্টি তো বক পাখি-অরণ্য জানে
সফেদ তুষারে ঢেকে যাচ্ছ-বাদামের গাছ
ভোরের শুরুতে,তুমি নদী নাকি আকাশ?

কবিতায় তোমাকে লিখতে গিয়ে-কেবল

নির্জন উজানে ভাবি-তুমি কি বসন্ত নাগরীক

দ্রুত মাথা চাড়া দিচ্ছ,শিমুল ফুলে;দিগন্তে-

এই নগর-আদমশুমারী,বছরে একবার মেলো

আহ!ভাবনার মতো হয়ে ওঠেনা রূপরেখাবলী-

আমি মাতাল হচ্ছি অথচ তুমি হাসো-গান করো
কুহক কণ্ঠসলিলে-আমার ভেতরে কিন্তু ফের-
বসন্ত দোল খায়,পাতাঝরা কাঠঠোঁকরার মতো
আবার জেগে দেখি-ঘৃণা পালিয়ে যাচ্ছে-শিশিরে
চোখে চোখে ধ্যানবৃক্ষ রোপণ করি-তুমি তো