রূপম দেবের কবিতা

রূপম দেবের কবিতা

ক্যানভাস

ক্যানভাসে যত রঙ
তার চেয়ে বেশী রঙ এ হাতের তুলিতে ;
তুমি ছোঁও আমাকে..
পলকে বৃষ্টি নামুক নিশ্চুপ দুপুরে ;
এসে দাঁড়াও
বুকের পুড়া আঙিনায় ;
করি নির্মান পূর্ণতায়
পলে পলে তোমায় নিভৃত সাধনায় ।
এ পোড়া হাত ক্ষত বিক্ষত…
তবুও রঙ আছে ঢের আঙুলের মিহি স্পর্শে ।

পোড়া ছাই

ছায়ায় ছায়ায় হাঁটে নিঃসঙ্গতা! বাউরী বাতাস ! উড়ে যায় কিছু ছেঁড়া সুখ ; বিক্ষত স্মৃতি। তবু জীবন আছে ঢের বাকী ; নির্মোহ অবহেলায়; উপেক্ষায় জড়ানো নীল অপেক্ষায়। শশ্মানময় আগুনের ফুলকি ; জ্বলন্ত অঙ্গার রোজ দিন ; রোজ রাত ! নিস্তব্ধতায় পুড়ে আস্ত জীবন ;
পোড়া ছাই ! মুঠো মুঠো !

কাঁটাতার

কাঁটাতার !
নীচে তার বাড়ন্ত সবুজ ; প্রসারিত ।
সে আমার অবুঝ হৃদয় !
না বুলেট না প্রহরীর রাঙা চোখ
কেউ না পারে রুখতে !
এ কঠিন ব্রত !
নিত্য ছুঁয়ে দেবো তোমায় সজল বরষায়।
সিঁদুর লালিমা কপালে তিলক অপূর্ব গরিমায়
প্রিয় প্রেম তুমি ; রিমঝিম কবিতায়।

দু’পাতা জীবন

দু’পাতা জীবন !
আর লাইন কয়েক লিখেই জানি পূর্ণচ্ছেদ !

যদিও না হলাম
কারো কলমে গল্প ; না উপন্যাস।
না হলাম কারো মনে; রামধনু আঁকা বিশ্বাস !

দুঃখ নেই ;
যদিও আক্ষেপ আছে ঢের –
নাই বা হলাম কারো দুঃখ ; চোখে জল – টলটল ।

মায়া

মায়া যেন মেঘের প্রতিরূপ
জড়াই যতো; আঁকড়ে ধরি যতো
শূন্যতায় ভাসে লোনা পাঁজর; ভিজে অবিরল !

মায়ায় আর বেঁধো না আমায়;
যোজন দূরত্বে থাকুক সে, অনন্ত সুষমায় !

বলো যদি, আমি পাথর হয়ে যাই !
আগুন বুকে চন্দ্রিমা পোড়া ছাই ।