প্রদীপ দের অণুগল্প

প্রদীপ দের অণুগল্প

প্রেম যখন জীবন

সুরজ সুযোগ করে দিল। মেয়েটির, মানে নিয়তির সঙ্গে উদয়ের মুলাকাত হয়ে গেল।
প্রেমের প্রথম পাঠে লাজুকতা,পরে মাদকতায় পরিণত হতে চললো।

নিয়তি যেন লজ্জাহীনা। চোখ বড় বড় করে বললো — ওরকম করে দেখা তোমাদের ছেলেদের স্বভাব। সোজা করে বলতে সাহস হয় না?

উদয় খানিকটা অপ্রস্তুত, বললো — আমি দেখছিলাম? আপনি দেখেছিলেন বলেই না বুঝলেন।

— আমি? টলটলে বড় বড় দুটো চোখ যেন গিলে খেতে এল। উদয় মনে মনে ভয় পায়, ওকে ছাড়াতো আমি বাঁচবো না,যদি রেগে যায়। তাই হাসার ভান করে — যাক ক্ষমা করে দিন ম্যাডাম!

ম্যাডাম যখন ধরেছেন তখন পৃথিবীর কোন দেবতার ক্ষমতা নেই সেটাকে ছাড়াবার -একথা কিশোর উদয় জানতো না।

উদয় নিয়তির কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছে, যখনই ডাক আসে তখনই দৌড়ায়।

উদয় শান্ত, ভীতু,বেকার তার বাবা রেলগাড়ির একজন হকার। আর নিয়তি অশান্ত, চাকুরিজীবী,আবার বাবার ফুটপাতের দোকানের সক্রিয় সহায়িকা।

উদয় কায়দা করে — সুরজ বললো তুমি ডেকেছো?

নিয়তি মুখ ভ্যাঙায় — কচি খোকা ! নিজে থেকে আসতে পারো না?

উদয় কাঁচুমাচু করে — আসলে কলেজ, তারপর বাড়ির কাজ —

নিয়তি তেড়ে ওঠে — প্রেমট্রেম তোমার দ্বারা হবে না। তাহলে আমাকে ফাঁসালে কেন?

উদয় নিয়তিকে ফাঁসিয়েছে না কি নিয়তি উদয়কে ফাঁসিয়েছে? এনিয়ে বিস্তর গবেষণা চলতেই পারে, কিন্তু প্রেম চললো তারই নিয়মে, তারই পরিণতিতে!