গল্প: আত্মহত্যার গল্প

গল্প: আত্মহত্যার গল্প

আত্মহত্যার গল্প

তৈমুর তাহের

প্রভাতের অরুণালোয় যাকে স্বর্ণময়ী বলে জ্ঞান করেছিলাম গোধূলির প্রান্তে এসে জানলাম এটা পিতলখণ্ড মাত্র! যাকে অধিকার করব বলে প্রাণ বাজি রেখেছিলাম তা যে আমার অনধিকার চর্চা হবে, এ ভাবনা ছিল আমার ভাবনাতীত। অবনীর সাথে প্রণয় শুরু ও শেষ হওয়ার আগে-পরে সে ছিল আমার আশৈশবের বন্ধু আজমলের বড় মামার মেজ মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর সেবার প্রথম দুর্গা পূজার ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এলাম। মা আমার কণ্ঠভরা অভিমান নিয়ে বলল, ‘‘ পাঁচ মাস তের দিন পর বুঝি তোর মাকে মনে পড়ল?’’ আমি আশ্চর্যান্বিত হয়ে মায়ের দিকে চাইলাম। মনে একটা সসহ্য অথচ গম্ভীর ব্যথা উঁকি দিল—”মা এই পাঁচ মাসের প্রতিদিন আমাকে স্মরণ করেছে! যেখানে অপেক্ষার প্রহর স্বল্প হলেও অসীম অসহ্য ভর করে, সেখানে মা আমার এতদিন প্রতীক্ষায় থেকে কত না অসহ্য সহ্য করেছে’’- এই ভেবে। তাছাড়া বাবা মারা যাবার পর মা তো আমাকে চোখের আড়াল হতে দেয়নি। পরক্ষণেই মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, ‘‘ মা, তুমি তো জানো, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছি, প্রথম বর্ষ, নতুন বন্ধু-সহপাঠী, কত অপরিচিত; তাদের সাথে পরিচিত হতে হলে তো একটু সময় লাগেই! তাছাড়া তোমার সাথে রোজই তো ফোনে কথা বলি। লক্ষ্ণী মা আমার, রাগ করে না। ‘‘থাক আর বলতে হবে না। কাপড়-চোপড় ছেড়ে আস, খাবি’’—বলে, মা রান্না ঘরের দিকে অগ্রসর হলো। আমিও আমার শোবার ঘরটার দিকে পা বাড়ালাম।
বাড়িতে আসার পর দিন সকালে আমার ঘরটিতে শুয়ে ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়ছিলাম। মা বাড়িতে ছিল না। আজমল দরজা টোকা দিয়ে বলল, ‘‘ আসতে পারি জনাব?’’ আমি বললাম, ‘ আস্, কখন এলি?’’
—আমি একা নই, আমার সাথে আরও কজনকে অনুমতি দিতে আপনার সম্মতি হবে কি?
উঠে বসে বললাম, ‘‘আরে আস্, তারপর সদলে এই সাত সকালে?’’
আজমল ভূমিকা ছাড়াই বলা শুরু করল, ‘‘ ইনি হলেন আমার নানার বড় ছেলের এবং নানার বিয়াই মহাশয়ের ছোট মেয়ের মেজ কন্যা, অর্থাৎ বড় মামা-মামীর মেজ মেয়ে। নাম অবনী। উচ্চ মাধ্যমিক দিবে এবার। আর তাঁর নাম অনন্যা। সমাপনী পরীক্ষা শেষ করে তিনি অসমাপনী শুরে করেছেন। আর ইনি সেজুতি। তাঁকে তো আপনি জানেনই;আমার কনিষ্ঠ ভগ্নি। তবে আমার পকেট কাটতে তিনি একনিষ্ঠ অকনিষ্ঠ!
‘‘ আজমল ভাই, আপনি থামুন। এতদিন তো পকেট কেটেছেন, এবার কিন্তু আপনার মাথা কাটা যাবে। দেখুন, আপনার কনিষ্ঠ ভগ্নি কেমন অগ্নিশর্মা হয়ে আছেন!’’- বলে, অবনী সেজুতির দিকে দেখিয়ে দিল। আমি অবনীর দিকে অপলক চেয়ে ছিলাম। দেখছিলাম ওকে। সাধারণ পোশাকে একজন মেয়েকে যে এমন অনন্যসাধারণ লাগতে পারে সেদিন অবনীকে না দেখলে এটা আমার অগোচরেই থেকে যেত! নিরাভরণ শরীরে আভরণ শুধু চোখের কাজলটুকু। দুই টান কালো কাজলও যে রমণীকে এতো রমণীয় করে তোলে সেটাও সেদিন দিব্য দেখেছিলাম। রূপ-সৌন্দর্য মানুষের স্বত্বকে ও স্বকায়ায়। সেজুতিকে বললাম, ‘কেন রে সেজুতি, এমন কিছু আছে নাকি ? যাতে তোর দাদার মাথা কাটা যায় ? বেশ হয়েছে, তোমরা এসেছ। বস। আমাদের আগমন বেশ কি না জানি না, কিন্তু আপনার পড়ার যে শেষ করেছি সেটা বেশ বুঝতে পারছি। ‘কী রে, কাকিমা কোথায়?’’ মনে হয় গোবিন্দ কাকাদের বাড়িতে গেছে। মাকে সকালে ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন সন্দীপ দা’র মা। সন্দীপ দাদা বিয়ে করেছেন—তাঁর বউ দেখতে। ‘‘তোরা কথা বল্ , আমি কাকিমাকে চটজলদি ডেকে ফিরছি’’—বলে, আজমল অনেকটা দৌড়ে পালিয়ে গেল। নতুন বউয়ের কথা শুনে আজমলের পেছন পেছন সেজুতি ও অনন্যাও ছুটে গেল। সকলের বর্তমানে যেটুকু নির্ভার ছিলাম, সকলের অবর্তমানে তারও অধিক ভার ও অস্বস্থি হতে লাগল। আজমল যেন অথৈ জলে হাত-পা বেধে আমাকে ফেলে পালালো! নির্জন ঘরে এক অপরিচিতা। যার দিকে সহসা চোখ তুলে না পারছি তাকাতে, না পারছি তাকে রেখে ঘর থেকে পালাতে। সাহস করে চোখ তুলে তাকালাম। প্রথম পলকে তার যে চিত্রটি আমার মনমন্দিরে স্থান করেছিল, আমি আজও সেই স্থান থেকে তাকে স্খলিত করতে পারিনি একবিন্দু। না ফর্সা, না শ্যামলা; এ দুইয়ের মাঝামাঝি একান্ত এক রং মিশে আছে অবনীর সকল শরীর জুড়ে। ফর্সার মাঝে তাতেই আকৃষ্ট হবে, আবার শ্যামলসুন্দরের মাঝে অবনী অনবদ্য। মুখের ত্বক ও শরীরের ত্বক কেউ কাউকে অণু পরিমাণ বঞ্চিত না করে অভিন্ন ছন্দে বিরাজ করছে। সমস্ত শরীর এক অবিচ্ছেদ্য তরুলতার ন্যায়, যার সর্বত্র সমান সৌন্দর্য, সমান উজ্জ্বলতা। কী বলব? কীভাবে বলব? কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে গেলাম। মৌনতা ভেঙে বললাম, ‘‘তোমার, না মানে, আপনার নাম অবনী?’’ অবনত নয়নে মাথা নেড়ে অবনী উত্তর দিলো। বললাম, ‘‘ আপনি কোন ক্লাসে পড়েন?’’ মাথা নেড়ে উত্তরের অপারগতায়, অবনী তার চোখ দুটো তুলে ধরল আমার ক্ষুদ্র পৃথিবীর সামনে। শরত সকালের সেই সতেজ স্নিগ্ধ সময়টুকুতে আমি পাথুরেদেহে নির্নিমেষ শুধু তাকিয়ে ছিলাম অবনীর বাদামী বর্ণ চোখের পানে। মনে হচ্ছিল, জন্ম-জন্মান্তরে আমি হারিয়ে নিজেকে খুঁজে ফিরতে চাই ওচোখের তারায় তারায়।
‘‘ তুমি কী হতে চাও? কী তোমার স্বপ্ন? অসংযমীর মতো হঠাৎ আপনি থেকে তুমি’তে নেমে ইতস্তত বোধ হলো! ‘‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই। এটা আমার আপ্রথম স্বপ্ন, তারপর পরেরটা দেখা যাবে’’- একটা মুচকি হাসিতে বলল অবনী। আমি শুধু বললাম, ‘‘ বাহ! সুন্দর স্বপ্ন’’। ‘‘কী ব্যাপার! দুইজন নির্বাক চলচ্চিত্র হয়ে বসে আছিস কেন?’’ আজমলের কথায় স্বপ্নরাজ্য থেকে ধরাধামে পতন হলো আমার। কিছুক্ষণ পর, অবনী ও আজমল চলে গেল; দিয়ে গেল আমার সমস্ত জুড়ে এক অনাবিল আনন্দ হিল্লোল। কোনো কিছুই না পেয়েও যেন আজ পেলাম এক বিশেষ অধিকার। সে অধিকার আপনা আপনিই মনে জেঁকে বসে আমাকে অধিষ্ঠিত করল বর্ণিল স্বপ্নের সিংহাসনে।
আজ বিকেলে একটু সকাল সকাল বের হলাম। আজমলদের আম বাগানে নিভৃতে দাঁড়ালাম। আম বাগানের অনতিদূরে দক্ষিণ পাশে বিস্তীর্ণ ধানীজমি পড়ে আছে। পূর্ব পাশে জগৎপতি কাকাদের বিঘাতিনেক জমিন নিয়ে তরিতরকারির ক্ষেত। উত্তরের কোণে বছর কয়েক আগেও বিরাট বাগান ছিল। যে বাগানের ভেতরে দিনের বেলায়ও রবিরশ্মি পৌঁছাত না! এখন সেখানে জনবসতি শুরু হয়েছে। আম বাগানটির পশ্চিম পাশে আছে একটি মাঝারি বড় পুকুর। একটি জিবলি গাছ পুকুরের ওপর হেলে পড়েছে। জিবলি গাছটির পাশে বসে আমি আকাশ-পাতাল ভাবছিলাম। ভাবনাচ্ছেদ ঘটাল অবনী-
-আপনি এখানে, এই অসময়ে?
-কেন আমার কি আসতে নেই?

না আপনাকে ঘরের বাইরে দেখা আর ডুমুরের ফুল দেখা নাকি সমান!
আমি বললাম, ‘‘অবনী, তোমার সাথে কি আমার এটাই প্রথম শেষ দেখা? এখান থেকে তুমি চলে গেলে, আমাদের এ স্বল্পালাপ ও সরিষাভোর সাক্ষাত কি গলে পালাবে?’’ আপনি যে সুন্দর কথা বলেন তা কি ঐ বইতে লেখা থাকে? যা আপনার হাতে সকালে দেখলাম। অবনী, তুমি আমার জিজ্ঞাসার জবাব দাও-
‘‘আপনি ইচ্ছে করলে আমাকে আপনার মুঠোর মধ্যে আলগে রাখতে পারেন’’। মানে? কী বলতে চাইছ, অবনী? এত শ্রুতাভিরাম কথা যার মুখ থেকে বের হয়, এই সামান্য জ্ঞানটুকু তার মাথা থেকে বের হয় না? আপনার একটা মুঠোফোন আছে না? আমি সভয়ে বললাম- অবনী, আমি তোমাকে ভালোবাসি। এভাবে বলবেন না, শুধু চোখের ঘুম কেড়ে নিলেও বাঁচা যায়, কিন্তু চোখের ঘুম ও মন যদি দুই-ই কেড়ে নেন তাহলে আমার আর রইল কী?
তারপর দিন আজমল ও আমি অবনীকে রংপুরের বাসে তুলে দিয়ে এলাম। এবং তিনদিন পর ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আমি ছুটি শেষ করে শহরে ফিরলাম। দেড় মাস পর আমার প্রতীক্ষার অবসান করে অবনী আমার মুঠোফোনে ফোন দিল। আমার ধুলো ধূসর পৃথিবী মুহুর্তেই ভরে উঠল। ‘‘আপনি কেমন আছেন?’’ আমি ভালো নেই অবনী। তোমাকে সর্বস্ব দিতে চেয়েছিলাম, তোমার বিরহে বুঝলাম, তোমাকে সর্বস্ব দেব কী? তুমি আমার সব লুট করে নিয়েছ। প্রত্যুত্তরে অবনী বলল, ‘‘আমি তোমার সর্বস্ব লুট করেছি কি না জানি না, কিন্তু তুমি আমার সুখ সুশয্যা শরশয্যায় পরিণত করেছ! কোন কিছুতে আমি স্থির নই যেন আর। অবনী আরও আরও কিছু বলল তা না হয় অশ্রুতই থাকল। অবনী বলল, ‘‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই’’। আমি বললাম- অবনী, তুমি দুশ্চিন্তা দূর কর। তোমাকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেই ছাড়ব’’। তারপর থেকে তার সকল দায়িত্ব আমি নিজ করে সাদরে গ্রহণ করলাম। পড়ালেখার কৌশল বাতলে দিলাম। কীভাবে মূলবই পড়ে সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ভালো করা যায় এবং একই পড়া কীভাবে ভর্তি পরীক্ষায় সুফল বয়ে নিয়ে আসে, সব। অবনীও সাগ্রহে সকল কথা ধরেছে এবং স্মরেছে। অবনীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শহরে নিয়ে এসে ‘ভর্তি কোচিং’-এ ভর্তি করতে হবে। সেখানে নেহাতই কম খরচ নয়। অবনীর বাবা-মা মেয়ের পড়ালেখায় আগ্রহী কিন্তু প্রাণপণ করে মেয়েকে পড়াতে হবে, তেমন আগ্রহ কোন কালেই ছিল না। অবনীর পড়ালেখা চলছে বাবা-মা’র নাত্যাগ্রহে ও অবনীর মেধার দৌলতে। দীর্ঘ নয় মাস অবনী ছিল আমার অহর্নিশ সঙ্গী। আমিও নিজের হাত খরচ বের করতে টিউশনিতে নেমে পড়লাম; বনে গেলাম- ‘স্টুডেন্ট কাম হাউজ টিউটর’! হাত খরচের পয়সায় হয়ে উঠল সংসার খরচের হাতিয়ার। অবনীর বইপত্র, নোট, গাইড, মোবাইল, রিচার্জ, প্রসাধনী প্রভৃতি ব্যবস্থা করতে আমি হয়ে উঠলাম একান্ত ব্যবস্থাপক। যার ওপর আমার একচ্ছত্র অধিকার তার সমস্ত তো আমারই। অধিকার গ্রহণের পূর্বে অধিকার পালন, আমাকে পৌরুষ ও প্রেমিক দুই-ই করল। অবনী ভর্তি পরীক্ষা দিল এবং চান্স পেল না! তাতে অবনীর চেয়ে সহস্র গুণ ভেঙে পড়েছিলাম আমি। নাওয়া-খাওয়া বিসর্জনে বিবাগী হয়ে দিকভ্রান্ত ঘুরলাম কদিন! গণরুমের বন্ধু আসিফ, তমাল, রায়হান আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে শান্ত করতে চাইল। এমনকি অবনীও আমাকে নানা বুঝ দিতে লাগল। ‘‘ আচ্ছা, আমি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেব?’’ মুহুর্তেই আমার মধ্যে এক আশ্রয় অনুভূত হল। প্রগাঢ় অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া আমি আলোক রেখার দেখা পেলাম! পূর্ণ একটি বছর অবনী চেষ্টা করেছে মগজে আর আমি করেছি কাগজে। সেবার অবনী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল। আমার সেদিনকার খুশিকে আমি ভাষা দিতে অপারগ! পাঠকরাও বিষয়টি অবিদিত নয়। অবনীর জন্য এক বছর সময় দিতে গিয়ে সে বছর আমার আর তৃতীয় বর্ষে উঠা হল না! আমি দ্বিতীয় বর্ষেই, অবনী প্রথম বর্ষে। অবনীর প্রথম সেমিস্টার শেষ হওয়ার পর থেকে আমার সাথে সে গা-ছাড়া ভাব শুরু করল! এটা আমার কাছে ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাতের চেয়েও যদি বেশি কিছু থাকে, তাই। চারপাশের অমৃত আমার পলে পলে গরল হয়ে গেল! না খেয়ে, না পড়ে, অযত্নম্মন্য হয়ে আমি আজ পাগল প্রায়। ক্লাস পরীক্ষা কিছুই আমাকে টানে না আর। অনিয়মই এখন আমার নিয়ম! শরীরটাও ভেঙে পড়েছে, অস্থিগুলো বের হয়ে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। আজমলের কাছে খবর পেলাম, অবনীর জন্য মস্ত এক সরকারি অফিসার ঠিক হয়ে আছে। আরও জানলাম, আমি দ্বিতীয় বর্ষে, অফিসার হতে এখনও ঢের বাকি! অফিসার হব কি না তাও অনিশ্চিত! অনিশ্চিতের পেছনে নিশ্চিতকে জলাঞ্জলি দিতে চাননি আজমলের মামা-মামী। অবনীও মা-বাবার সিদ্ধান্তের বাইরে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি! অবনী আমার মুঠোফোন নম্বর কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। শত কল শত ম্যাসেজ কোনটিতে কোন গতি হয় না, প্রত্যুত্তর মেলে না! বছর দুই আগে অবনীর যে কথাটা আমার মনে আশার সঞ্চার করেছিল, “ আপনার মুঠোফোন আছে না?’’ আজ হাতের মুঠোয় সে ফোন নিয়ে অবনীকে বড় বেশি মনে পড়ছে! সাশ্রুনয়নে দিনাতিপাতে কিছুতেই আর নিজেকে সংবরণ করতে পারছি না! এ চোখের জলের তল কোথায় তা আমার জানা নেই! অবনীকে শেষ এসএমএসে বলেছিলাম, ‘‘ অবনী, তুমি পাশে থাকলে আমি সর্বোচ্চ জয় করে দেখাতে পারব’’। অবনী তারও কোনো উত্তর দেয়নি! আজ আমার খুব মরে যেতে ইচ্ছে করছে! মাকেও মনে পড়ছে খুব!