শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের কবিতা

সুতানটি চর
কোনোভাবে চরে এসে উঠেছি।
মেঘেরা কোলাহলের বদলে দিতে চায়
চোখ ধাধানো রূপ।
নিমগ্ন হয়ে উড়াল দিলো পাথরময় ফেনীল জলরাশীর সৃষ্টি।
কোথায় আছো-
জেনে নিতে চাইছে ধুধু পারাবারের মাঝে ঝিনুকখোল পাখির ডাক।
মৃতের আত্মার মত বুকের ভিতরে আলো-আঁধার!
সারবস্তু।
গাছের কোটর ছেড়ে
অন্য কোনো নক্ষত্র কোটরে
পৃথিবী বদলে গেলে
সামুদ্রিক যতকিছু ঢেউ-জাগানো বাতাস বওয়ানো
আমি এক অনবদ্য গদ্য।
মীর চিহ্নিত দুই পৃথিবীর আলিঙ্গনে
শামুকখোলের ডাক!
সেই যেনো সুতানটি চর।
হিমোগ্লোবিন
মানুষ খুন করেছে কৃষ্ণচুড়া।
পাপড়ি উন্মোচন করে রায় দান করেছেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন স্বয়ং।
সক্রেটিস
প্লেটোর স্বর্গের কাহিনীতে
লখীন্দর বণিকএর ফাইল নিয়ে
আজও মনসার ডাল কেটে
সন্দেহের হিজ মাস্টার ভয়েস এর পিন থেমে থেমে অতীতে যায়,
সেইখানে—
মনুর মাথার ওপরে চাঁদোয়ায় আগুনের ভীষণ কুচুটে বুড়ি এলেনর খিক্ খিক্ করে হাসছেন
দেখো।
মানুষ খুন করেছে কৃষ্ণচুড়া।
রক্তাক্ত মাটিতে জমে যাচ্ছে স্বাতী নক্ষত্রে ভরা দিঘির হিমোগ্লোবিন।
সার্জারি
কাঁপছে।
ট্রাফিক পুলিশের হাত অক্সিমিটারে।
ট্রাফিক পুলিশের চোখ মনিটরে।
গর্তের মুখ থেকে বিপদ ঘন্টি বাজছে…
একহাতে সেবা।
অন্যহাতে পরধর্মের আবছায়া জগতে
ক্ষেপার পরশপাথরের রূপক !
শব্দ হচ্ছে অপারেশন সার্চলাইটের ঘরে
কাটাকুটির সার্জারি’র,
আর
উপাঙ্গ অ্যাপেন্ডিক্স চলে যাচ্ছে
পৃথিবীর শীতকালের দিকে…