নীহার রঞ্জন দাসের কবিতা

সোহাগী
দেখেছো সোহাগী
কতোকাল মানুষগুলো বোকা হয়ে আছে ….
এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে দ্যাখো
যেন প্রতিটা মানুষ এক একটা ভিক্ষুক …
কে যেন,কারা যেন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সকল স্বপ্ন।
মানুষ গুলো বাঁচার জন্য
কেমন কাতরাচ্ছে দ্যাখো সোহাগী …
কতোকাল নামকীর্তনে যায়নি ওরা
কতোকাল হাঁটুতে মুখ রেখে
মাটির গন্ধ নেয়নি ওরা ,
কতোদিন ভরাট জমির ফসল নেয়নি হাতে তুলে ।
অথচ আমাদের প্রত্যয় ছিলো
স্বপ্ন উড়াণ
ছিলো সম্বলহীন কোনো মানুষের পাঁজরে কান রেখে তার শ্বাসের শব্দ শোনা ।
সোহাগী , তুমি কি ভাবতে পারো
আমারা কোনো কালে বিচ্ছিন্ন হবো ?
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে ভুলে যাবো পথ , শপথ ।
আজ তোমাকে লিখছি সোহাগী
এখনো শিকড় গুলো জল চায়
এখনো বিসমিল্লা খাঁয়ের সানাইয়ে বৃষ্টি চায় ,
কে চায়, বলো সোহাগী,
তেপান্তরের প্রান্তে যে রাখাল চলে গেছে, সে আর ফিরে না আসুক ।
কোনো শিশু উপবাসী থেকে থেকে ভুলে যাক তার ভারতবর্ষের নাম
বলো সোহাগী এমন করে বাঁচার নাম কি জীবন ?
কাকের মুখে ভাত দেখে
কোন্ শিশু জিভ নাড়ে ।
সোহাগী , আমাদের চলার শেষ নেই
আমাদের হৃদয়ের চিঠিগুলো
একদিন রক্তে লাল হয়ে উঠবে ।
সোহাগী , এভাবে আর কতোদিন
মানুষ মানুষের থেকে দূরে থেকে থেকে ভুলে যাবে
এই পৃথিবীতে তাদের ঘর ছিলো
সন্তান ছিলো
স্বজন ছিলো
সোহাগী , আমরা কী তবে এখন
আদিম নগরীর সভ্যতা খুঁজে চলছি ?