সামসুন্নাহার ফারুকের কবিতা

সামসুন্নাহার ফারুকের কবিতা

এনো কিছু মধুরিমা ওম

হলুদিয়া শস্যক্ষেত পাঠিয়েছে চিঠি
নান্দনিক নৃত্যকলায় সোনারোদ
মেতেছে উৎসবে
নেচে ওঠে মুগ্ধবতীর মন
সময়ের আরশীতে একটানা ছুটে চলা
সে যেন অক্লান্ত মোহিনী যৌবন

গন্ধবতী মাঠ সেজেছে নবান্নের আশে
মওসুমী ফুলেরা মেতেছে পরকীয়া
প্রিয়ার সকাশে

বিমন্দ্রিত উচ্ছ্বাসে শিশিরের জলে নেয়ে
ফেরত ডাকে পাঠিয়েছে খোলা চিঠি
হরিণ হরিণ মেয়ে

আসবার কালে সখা এনো কিছু মধুরিমা ওম
সুদীর্ঘ শীতের রাতে জমাবো আসর
সুখসুখ আস্বাদনে কেটে যাবে ক্ষণ
হাওয়ারা শিসে শিসে শোনাবে কীর্তণ।

 

মেঘ বেসামাল

কাজল মেঘেরা ওই আকাশের গায়
জলদ সম্ভার বুকে ছুটিতেছে হেসে,
লাজুক বাতাসে ভেসে রাপন্তীর বেশে,
তড়িত তাপনে নেয়ে গমকেতে ধায়।

এলোকেশে উড়ে উড়ে ইতিউতি চায়,
জলরঙা শাড়ি পরে ভাসে নিরুদ্দেশে,
নাগরিক সুখ ছেড়ে মহুল আবেশে,
ছুটে চলে কোথা যেন বুঝা বড় দায়।

মেঘের মেয়েরা আজ বড়ই বেহাল,
অণুরাগ মোহটানে মহুয়া মাতাল।

অনিন্দিত লয়ে ছোটে জলজ শরীর
খুঁজে ফেরে আতিপাতি মধু আয়োজন
চাতক নয়ন খোঁজে কটাক্ষ মদির
বেপরোয়া বসন্তের অগ্নিময় ক্ষণ।

বৃষ্টিফুল

শ্রাবন নগরে জলের আদরে
ঝরছে বৃষ্টিফুল,
রিম ঝিম ঝিম সুর লহরীতে
হাসিতেছে চুলবুল।

জল ছপ ছপ মেঘের মেয়েরা
জলের নূপুর পায়,
উড়ালী ডানায় উড়ালের কালে
কিছু তা ঝরিয়ে যায়।

কাগজের নৌকা ভাসিয়ে আজিকে
দেখব বিজলী সাজ,
নাচের ঠমকে রূপের গমকে
কি মোহন কারুকাজ।

প্রীতমের সাথে করব আঁতাত
দারুণ শ্রাবণ কালে,
রাত জেগে জেগে লিখব কবিতা
আাবীর রাঙানো গালে।