শীতল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

বিনিময়ে
ঝিঁঝিদের দিয়ে এসেছি
পাতা পড়া উঠোন।
তুলসী গাছের জন্য রেখে এসেছি
বাতাস আসার ফাঁকা পথ।
মায়ের বাজানো শাঁখটা
মা চলে যাওয়ার পর
কারো ফুঁয়েই বাজেনা আর,
কণ্ঠ হারিয়ে সে শাঁখ
সেখানেই হয়তো পড়ে আছে কোথাও!
কেউ নেইয়ের উঠোনটা আরও বড় হয়েছে
পড়ে যাওয়া ঘরের মাটি অবধি এগিয়ে।
কান্নার উৎসে
দৃশ্যমানতার পথের পাশে
আলাদা করে পাতা নেই সৃষ্টি পথ।
আমি-আমাকে ভীষণ ভাবে ভাঙতে -ভাঙতে
যন্ত্রণার অন্তর ক্রন্দনে কেঁদে
গড়িয়ে আসে চোখে যে জল
তার নাম কবিতা।
চোখের জলের কিছু অক্ষর ছড়ানো হয়
কান্নার উৎসে,
অক্ষরগুলো শব্দ হয় ধীরে-ধীরে,
আরও ধীরে কথা ফোটে কবিতার।
চিঠি
চিঠি এসেছে ,
চিঠি হয়ে চাঁদ আসবে রাতে ,
চাঁদ পৌঁছুলো।
হিমানী মাখা মুখের দিকে চেয়ে থেকে
চিঠি পড়ি ।
সেই একদিন –
এই চাঁদকে সঙ্গে নিয়েই তো
ছড়িয়ে পড়েছিল
জীবনের এক আকর্ষণীয় আলো।
মাঠের ধারে একান্তে দাঁড়িয়ে থাকা
বকুল গাছটাকে ছুঁয়ে
মন ফুটেছিল সৌরভে,
হৃদয় ছড়িয়ে ছিল সুগন্ধে।
অনেকটা রাত অবধি
চাঁদের গায়ে লিখেছিলাম
ভালোবাসার চিঠি।
সেই চিঠি নিয়েই ফিরে এসেছে
চাঁদ আজ ,
এখনও পৌঁছাতে পারেনি বলে ।