শাহীন রায়হানের কবিতা

বিজয় পতাকা
পাঁজরভাঙা দীর্ঘশ্বাস কুঁড়েকুঁড়ে খায়
ভূতুরে আঁধার আক্রান্ত বাবার বিস্তীর্ণ বুকের জমিন-
বাকহীন নিস্তব্ধ বাবা বিজয় পাতাকা ছুয়ে ছুয়ে দাঁড়ায়
নির্ঘুম চোখে। হৃদয়ের এপিটাফে গোপন করে
নীলাভ অতীত।
অবনত মস্তকে সময়ের উড়ন্ত সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
বিষণ্ন বাবা সুধায়…..
শীতের অবসন্ন কুয়াশা ছিঁড়ে তার খোকা ফিরবে
ঘরে ফিরবে, মুক্তির দামাল প্রলয়ে কাঁপিয়ে
শ্যামল স্বদেশ বিজয়ের পতাকায়।
পথ শিশুদের প্রত্যাশা
শীতের উঠোনে ভাসমান কুয়াশার জাল
স্বপ্নার্দ্র নীলিমায় ছুঁয়ে দিলো
ঘাসের বুকে এলিয়ে পড়া প্রত্যাশার শিশির।
এখন প্রজাপতির ডানায় ভর করেছে ঊষ্ণ রোদের
সংসার
পার্পল মখমলে জড়ানো অলস ঘুমের প্রান্ত
ছুঁয়ে
সবুজ ধানক্ষেতে কৃষকের নবান্নে চিলের
সোনালী ডানায়
শিমুল পলাশের লাজুক লাল পাপড়িতে জেগে
উঠেছে-
আগামীর উর্বর উদাসী জীবন।
আর প্রেমহীন রাতের অসভ্য অন্ধকারে
ক্রমাগত ডুবে যাচ্ছে
উলঙ্গ সভ্যতার দুর্বিনীত নিষ্ঠুর মানবিকতা-
যেখানে পথ শিশুরা ঢুকরে কেঁদে ওঠে
একটি উষ্ণ রোদেলা সকালের পিরামিড সম
প্রত্যাশায়।
আমার ত্রিভুজ
একটি সমান্তরাল সোনা রঙ ড্রয়িং খাতায়
ঘুমন্ত সরলরেখা তুমি-
বিষন্নতায় ডুবে থাকো বিন্দুর নীরব ব্যালকনিতে।
তারপর তৃষ্ণার্ত কাকের মতো কালো রং কার্বন হও অতৃপ্ত বাসনায়-
জীবন চৌকাঠে প্রেমের নতুন আলপনা আঁকো
সবুজ হলুদ মাখো বোবা কম্পাসে-
ডিপ্রেসনে হয়ে যাও আমার ত্রিভুজ।