শান্তনু ভট্টাচার্যের কবিতা

গন্ধ
এখনো প্রতি রাতে
এক ব্যাগ গন্ধ নিয়ে শুতে যাই।
যেমন পলাশের..
ভোরের বাতাসের..
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ,
সবরকমের মধ্যে আমার ভালো লাগে
কেবল ধোঁয়া ওঠা ভাতের গন্ধ,
ঘুমের মধ্যে লবন খুঁজি তোমার শরীরে…
এভাবেই ধরে রাখতে চেয়ে বদলেছি
একটার পর একটা লাইন
খবরের কাগজ থেকে প্লাস্টিক
লোহা থেকে গাড়ির,
গান ছেড়ে ধরেছি কবিতা
গিটার ছেড়ে আড়বাঁশি –
তবুও লবনের খোঁজ শেষ হয় না
শরীর থেকে শরীরে যায় বহুগামী মন
স্বপ্নে বাতাসে বাতাসে ভাসে
গরম ভাতের গন্ধ ..
কানে বাজতে থাকে হাড়ি খুন্তি আর
তোমার ব্যস্ত চুড়ির টুঙটাঙমিষ্টি শব্দ।
মেঘ বৃষ্টির কাব্য
একটা নদী আকাশ ছোঁয়ার জন্য
জ্বলে পুড়ে মেঘ হয়ে যায়,
একখণ্ড মেঘ মাটি ছোঁবে বলে
শীত মেখে মেখে বৃষ্টি।
গাছের পাতার নীচে জমে থাকা
অন্ধকার প্রেম শরীর পেতে চায়
জোনাকির আলো,
রাতের জিভচেরা পাপ
নির্মোক ফেলে যায় ভোরের শিশিরে।
তবুও বড়ো অদ্ভুত ভাবে
কতোকিছু বাকি থেকে যাওয়া জীবনে
আমার বুকে জমে থাকা অভিমানী বাষ্প
কেমন করে তোমার চোখে বৃষ্টি হয়ে যায়