মো. দেলোয়ার হোসেনের কবিতা

শুশুকের চোখ
কতো জল নদীতে?
আমার দিন রাত সব ভিজে গেলো!
ছাই দিয়ে মাছ কাটে ফুলমতি
ফিসফাস কানাঘুসি নদী আর শুশুক!
আমি যতবার মাছ কাটা হাত খুঁজি
চোখে পড়ে বঁটির ধারালো শরীর!
অতঃপর নদী থেকে শুশুকের চোখ এনে দেখি-
ফুলমতি যেনো পদ্মার রূপালী ইলিশ!
আমার কী দোষ
জলে গুলিয়ে নেবো নদী
তোমাকে লুকাবো মাছের চোখের আড়ালে
রতিসুখ কিনে নিতে শুনেছি মাছরাঙাও হাটুরে সাজে!
সিদ্দ চালের ভাত
মোটেও অরুচি নয় যদি তোমার গা ছুঁয়ে বসি
গ্রাসে গ্রাসে গিলে খাই তোমার নকের ডগায় জমা কচি ঘাম!
আমার কী দোষ
নদী আর জলের কবিতা খালকেটে রোজ আনি ঘরে
রাতদুপুরে তার পরও খুব বেশী জলতেষ্টা পায়!
সঙ্গম
শুধু আঙুল ছুঁয়েছো!
ঠোঁট?
এপার-ওপার ঘুরে
কয় ডুবে সেঁচে ফ্যালো নদী?
হাতের তালুতে টলোমলো পারদ যন্ত্রণা
বুকের গভীরে বহুদূর নগ্ন আঁধার
চোখ বুঝি খোলোনি দ্বিধায়?
শুধু আঙ্গুল ছুঁয়েছো
ক্রোধের কাছে এনেছো যৌনক্রোধ
মরণ দিয়েছো, নাও নি সহমরণ!
চোখের আগুনে
আমার চোখের সামনে ভরে গেলো দিঘি
এখন দিঘি সমান জল
টলোমলো টইটুম্বুর!
আর একটু হলে? আহ!
সাবধান মেয়ে, উপচে পড়ে যাবে!
যদি একফোঁটাও গড়িয়ে যায় ভিন্ন কারো চোখে
সত্যি বলছি- মরে যাবো!
আমি?
পাশের বাড়ির সেই যে আমি
রোজ চোখের আগুনে যে তোমাকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে খায়!
মেঘবতী
তুমি তুলোটে মেঘ সেজো
মেকাপবক্সে আমি শরৎ রেখে গেলাম!
খুব কী ভিজেছো গত বৃষ্টিতে?
নদীর খুব কাছে বেঁধেছিলে ঘর?
ধল প্রহরের চাঁদ-তারা-নদী সাক্ষী
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে শুধু নক্ষত্র খুঁজেছি, এর বেশী নয়!
কবির বদনাম বেশী
সেতো মেঘবতী নারী চায় শিল্পসহবাসে!
তুমি ঘুড়িমেঘ সেজো
ড্রেসিং টেবিলে আমি কাশফুল রেখে গেলাম!