নীলাদ্রি দেবেরকবিতা

নীলাদ্রি দেবেরকবিতা

কৃষিখামার

এক.
শাসক যে সুরেই গান করুন না কেন,
সেটা গান হচ্ছে না
শুধু চিৎকার
অসহ্য আর্তনাদ
লাঙলের ফলায় আঘাত করছিল নুড়ি

বন্ধ ট্রাক্টরের পালে বাতাসের ধাক্কা
ধ্রুপদী কোনও সুর… বিকেলে আলের সমান্তরালে
ধোঁয়ার রেখার মতো স্পষ্ট
যে দিকেই কান পাতি,
বাতাসের গতি কেটে দিচ্ছে মুঠো মুঠো হাত
এভাবেই শান্ত হোক সময়

চিৎকার ঘন হয়ে এলে গোধূলি
সূর্য অস্ত যায়

দুই.
তুমি আমি সে, দিন ভাঙতে ভাঙতে ছোট হয়
তবে কেন, নিজস্ব বৃত্তের বাইরে এলোমেলো শব্দ?
রুটি, ভাতের প্রতিটি দানার প্রস্থচ্ছেদ আর শূন্য
একটা আকার থেকে বেরিয়ে আসছে সূর্যের হাঁ
আর এর ভেতর আমাদের যাবতীয় নিঃশ্বাস
কেউ পালিয়ে যেতে পারেনি
ইতিহাস নয়,
আপনি নিজেকে অস্বীকার করতে পারেন না
চেয়ারের ভাঙা পায়ের পাশে সিংহের কেশর

তিন.
প্রচ্ছদ এঁকেই আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন
রং চুঁইয়ে গেলে… স্তব্ধতা
মেঘ থেকে যারা শূন্যতা ধার নেয়,
তাদের চোখে আপনার তীক্ষ্ণ ক্যানাইন
এসব উল্টে দিলে
শান্ত, শীতল ফ্লেক্সে ভেজা থলথলে ক্ষোভ
শুকোতে দেবেন না
আগুন যেদিকে জ্বলছে, তার বার্ডভিউ ইমেজ
গোপন করছে বাঁদরের ব
প্রচ্ছদ নয়, পালটে যাচ্ছে পান্ডুলিপি

চার.
গৃহ নয়, তাবু বিষয়ক রচনা লিখছেন গৃহপ্রধান
জলকামানে গলে যাচ্ছে ঘুমের ওষুধ
অতএব ট্রাক, ট্রাক্টরের গোপন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার
ব্যর্থ চেষ্টা করছে পোষা ইঁদুর
বোবা আলোয় ঘুম উড়ে যায়
উড়ে যায় পেটের অসুখ
খাবার ও খবরের নীচে চাপা আছে পিঁপড়ের ডিম
ডিম ফুটলে দীপাবলি
ডিকোড না করলেই
লাঞ্চ বক্সের চাবি নিয়ে যাবে চিল
পদ্মপুকুরে খোলস, ভাঙা বিষদাঁত

পাঁচ.
সবটা শেষ হলে একদিন গল্প হবে
বা হবে না
তাতে কাকের কী? কোকিলেরই বা!
আগে মুলতুবি হোক পার্লামেন্ট
এক্স ও ওয়াই অক্ষে মানুষ
গ্রাফ পেপারে রং বদলায়
অদৃশ্য রক্তক্ষরণ থেকে অসংলগ্ন আলোর বিন্দু
তবু বিন্দু হারিয়ে যায়
দেশ
নিশানের পাশে আপনার ভেঙে যাওয়া ঘুম
অপ্রচলিত স্বপ্নের টুকরো জুড়ে প্রলাপ ও প্রলাপ