আতাউর রহমান মিলাদের কবিতা

ধুলোর পৃষ্টা
১।
হাতটা বাড়ানো ছিলো সামনে
তুমি সরিয়ে নিলে দেহ
রাতটা নিহত হলো এভাবেই
নিয়ে যত উড়াল সন্দেহ
তোমাকে চেনাই ভার
কতখানি জিতেছি কতখানি হার!
২
মুছে দিওনা যত অচেনা দাগ
জমা করে রাখো স্মৃতির ভাগ
কুড়ানো সময়ে যে আলো ফোটে
ধরে রাখো সব পাললিক ঠোঁটে
রাতের চিহ্ন খুজোনা তুমি দিনে
সম্পর্ক থাকে বেঁচে বহুমুখী ঋণে।
৩
মনের গভীরে আলো ছড়াচ্ছে দ্যুতি,
ভাঁজ খুলে দেখোনা আর ত্রুটি বিচ্যুতি।
দু’হাতে বাজাও তালি পড়শিরা বাজুক,
জীবন চলেনা রেখে সম্পর্কের মাপজোক।
তিরিশ বছর শুধু এই তোমাকেই চেনা,
বুকের গভীরে চলে গল্পের আনাগোনা।
৪
ঘুমহীন রাতগুলো ঘামের কুসুম
জানালায় দৃশ্যমান আঙুলের ছাপ
নোনতা অভিমান জমা নিজস্ব প্রেম
প্রতিদিন পার করা এক ঘোরের কাল
এতোদিন আছি হায়,তবে কিসের কাঙাল!
৫
তোমাকে ভালোবাসি একথা বলিনা মন খুঁলে
মুঠোভর্তি ফুল খোঁয়া গেছে ইশকুলে
কোথাও চিহ্ন নেই ক্রমাগত ছায়ার শব
জলের পাঁপড়ি ভেজা নিরাবেগ কলরব!
ভাংগছি নিজেকে শুধু আপন খেয়ালে
জানিনা কি রং ছড়াবে মাটির দেয়ালে।
৬
কে কার ছায়া হয়ে এসেছিলাম
কখন রচনা করেছি বিচ্ছিন্নতা
চুঁয়ে পড়া জলের গোপন ভাঁজে
ছিটিয়ে দিয়েছি যৌথ নীরবতা
আমরা ছিলাম না থাকার মতো
কেনো যে হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত।
৭
সাধারণত,মাথা উঁচু করেই থাকি
তোমাকে দেখলেই শুধু যায় নুয়ে,
দুর্বল প্রহর ফিরে এলে বার বার
অভিমানী জল দ্রুত পড়ে চুঁয়ে।
তুমি কি নুয়ে পরা দীর্ঘশ্বাস?
গোপন ক্ষতে বেঁচে থাকা আশ্বাস!
৮
এই ভবে রেখেছো ফেলে ভাবের জাল
নারীর খোঁপায় গুঁজে বিবিধ সকাল
ভালবেসে জয় করে তেলাপোকা ভয়
চক্রাকারে ঘুরে হায় এই মানুষ হৃদয়…
আমিও ঘুরছি তোমাকে বৃত্তে রেখে
সবাই কি সবকিছু শিখে বলো,দেখে!
৯
কিছু ভুলতো তোমার ছিলো
বেশীর ভাগটাই আমার,
না হলে কি বেলা শেষে
শখ হলো হাত থামার!
হাত বাড়ালে নদী,ছোঁয়া যেতো জল
থাকতো কি তৃষ্ণা নিয়ে শুন্য করতল?
১০
এক হাতে বাজেনা তালি,দুই হাত চাই,
দুরে থেকে কেনো টানো ভুলের নাটাই।
আমিতো ঘুড়ি নই,হাতের মুদ্রায় নাচি
সময় চিহ্ন মেপে,চালাও মিহিন কাঁচি।
ছিন্ন করে মেঘের মোহর,ভাঙছো প্রাণের সুর
রাত পোহালে খেয়াপাড়ে মন খারাপের ভোর।