মালা ঘোষ মিত্রের কবিতা

মালা ঘোষ মিত্রের কবিতা

কেবা মনে রাখে

ফিনিক্স পাখির পালক চোখের পাতায়
ছুঁয়ে দিলে-
চাপা রাখা মনটা চারধারে ছিটকে
পড়বে—
জনস্রোতে মিলে থাকা অজস্র মুখ
সূর্যালোকের প্রখরতার তলায়-
তুচ্ছ করতে ইচ্ছা করে
মুহূর্তে জেনে আসা জীবন।
অসম্ভব পাগল করা সুদূর অনুভূতি
দুকূল ভাসিয়ে ভালোবাসা আসে-
খরা প্রখর দিন রাতের কথা
বানভাসি হওয়ার মুহূর্তে
কেবা মনে রাখে।

সূর্যোদয়

মনোরম বইয়ের পাতায় ডুবে
বিকেল গলে যাচ্ছে ম্লান সন্ধ্যায়
একটু একটু করে রাঙিয়ে দিচ্ছে
বিকেলের পড়ন্ত আভা।
সেই লালের আভা ছড়িয়ে যাচ্ছে
পলাশ, শিমুল গাছে।
সূর্যোদয় আকাশকেও রাঙিয়ে দিচ্ছে।

গভীর অরণ্যে একা একা ঘুরে ঘুরে
রঙীন প্রজাপতিও সুন্দর ফুলে ফুলে ঘোরে
অরণ্যে ঝরাপাতারা মৃদু শব্দ শোনায়।
ঝিলের শান্তজলে অবগাহন করে
সোমদত্তা নিজেকে দেবী ভেবে—
হরিণের গায়ে হাত বোলায়।
শান্ত আকাশে মেঘ ভেসে আসে।

সুরে সুরে

অম্বরে মেঘের ঘনঘটা
তবে বৃষ্টি হবে আশা করা যায়,
যদি বৃষ্টি হয়,
আড়াল থেকে দ্যাখো-
বাতাসে মিশে আছে এক অদ্ভুত গন্ধ,
মনে তরঙ্গ ওঠে-
তবুও নির্লিপ্ততায় এত অসহায় হও?
নির্জন অনাবিলতায় পাইনের বনে যাই,
হলুদ পাতারা ঝরে পড়ে…
আর লালপিঁপড়েরা দল বেঁধে
শিকড়ের মধ্যে বাসা বেঁধে থাকে ;

চন্দন কাঠের মধ্যে কত সুগন্ধ
শতাব্দী ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও…
কাঁচের সার্সিতে জলকণা জমে…
একদিন মেঘ তো হবেই।
শব্দ এলে—
মাঝে মাঝে ভয় আসে
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ায়—
মধ্যরাতে বিপর্যয়-
হয়তো বা! বিভোর করে,
এসো ভৈরবী সুরে একটা গান ধরি।