হরিশঙ্কর কুন্ডুর কবিতা

আজকের বিপাশা
তুমি একটা নদী হতে চেয়েছিলে
তাই আমি সুদীর্ঘ পথ খাল খনন করে
তাকে স্রোতস্বীনির জলে মিশিয়ে দিলাম
পূর্ণতায় ভরে উঠল তোমার মনন
ইচ্ছেরা কল কল করে বয়ে বিপাশা নদী হয়ে গেল
আসমুদ্র হিমাচল বন্ধন মুক্তির স্বপ্ন খুঁজি
বশিষ্ঠের মত আমারও পরমাত্মীয় বিয়োগ
অসহায় একাকীত্ব আর হতাশার গ্লানি থেকে
তোমার এই জলে অবগাহন করে
পাশমুক্ত হতে চেয়েছি
তুমিইতো আদিগন্ত স্বচ্ছতার প্রতিমূর্তি বিয়াস
তবে কেন এত নীলকন্ঠ বিষ ঢেলে দিলে
রোটাংপাস থেকে সিন্ধুর প্রবাহে প্রবাহে
তোমার পবিত্রতা দেখেছি জন্ম থেকে
সেকি শুধুই বাহ্যিক শান্ত মোহিনী রূপ
আজও তার কোন উত্তর দাওনি
এত জেদি আর অহঙ্কারী নদী
দ্বৈত বিবাদ এসেছে আজ দোর গোড়ায়
শরীরের গ্লানি মেখে প্রয়াগের সঙ্গমে ঢেলেছো গরল
অন্যত্র চরমশত্রু বিশ্বামিত্রের আক্রমণ
গোপনে মিলিয়ে হাত সন্ধি পেতেছো
এ আমার করুন পরিণতি
পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে পাথরের ক্ষয়ে যাওয়া
বিনাশ চেয়েছো আমার
জলজ বিপাশা তুমি
আমাকে ভেজাতে এসে
সর্বোগ্রাসী রোহিনি নদীর মত খুনি কেন হলে