মৌসুমী ভৌমিকের কবিতা

মৌসুমী ভৌমিকের কবিতা

চেপে আছে গোপনে 

বুকের শূন্যতায় সংকটের ভবিষ্যৎ নিয়ে
অস্তিত্বের চাবিকাঠি পেতে
প্রয়োজন বুঝে যেতে হবে
ওই জীবনমুখী ভোরের দিকে
যেখানে ভোর হতেই থাকবে
এক ঝকঝকে আকাশ
আলো ভরা মাঠ থেকে মাঠে মাঠে
নদী জঙ্গল পথে
পাহাড়ি উপত্যকা ধরে
অজস্র স্বপ্নবলাকা মেলবে পাখা
গভীর নীলের নীল উৎসবে
হয়তবা আরো আলো পাবে ভেবে
ওরা ঘুরবে আমরণ
আরও দূরে দেখতে পাব
নীল পাহাড়ের ছবি
সদ্য বরফ থেকে বের হয়ে আসা নদী
নদীর হিমশীতল জল
সে পথে ধ্বনিত হচ্ছে জীবনের কোলাহল
গাছেরা ছায়া ফেলে জলে
সবুজে নীলে মিলেমিশে হয়েছে রংবাহার
তাকে অন্ধকার করতে
কালো মেঘ সেজে আসবে আকাশে
হয়ত আসবে প্রবল বৃষ্টিও
বৃষ্টি তার স্নিগ্ধতায় ওদের শান্ত করে দেবে
ছোট্ট পাতারাও কি সুন্দর করে
বৃষ্টিকণাকে নিজের সাথে আঁকড়ে রাখবে
আবার যখন তখন হালকা নাড়াতেই
টুপ করে পড়ে যাবে।

কিছু শ্বাস গ্রহণ করা বা ত্যাগ করা যায় না বলেই
কিছু শ্বাসে কিছু অভিমান কিছু কান্না কিছু শূন্যতা
গোপনে লুকাতে হয়।

 

মন ফাগুনের পাখি 

সেগুনে ঘেরা নিরিবিলি জঙ্গলে আমার মাথার উপরে গাছের মাথার আধভেজা ডালপালা চুপি চুপি নেড়ে কে যেন ঘুরপাক খায় ক্রমাগত,সুঁইচোরা পাখির মত।

এই দুপুরের নীরবতার মাঝে- ও কি কিছু খোঁজে?

একেবারে ল্যাজের অংশটুকু ডালের নিচ দিয়ে নেমে থাকায়
দেখতে পেয়েছি এই অদ্ভুত পাখি।এখানে আর কোনো পাখি দেখি নাই।

তবু তৃপ্তি নাই।এখুনি যে উড়ে যাবে!দ্রুত ডানা ঝাপটায়।

দূরে দেখি- সারি দিয়ে পাখি উড়ছে একদল।তারা দেখিয়ে দেয়,এসময় সূর্যাস্তের শেষে আঁটোসাঁটো রাত্রি শুরু হয়।তার আগেই তারা চলে যায় বেশ।

চোখে রয়ে যায় আরো এক রেশ।রয়ে গেছে।