হামিদুল ইসলামের কবিতা

তবু অন্ধকার
পথ থেকে বেরিয়ে পড়ছে আরো নতুন পথ
সব পথেই অজানা অচেনা
তবু পা বাড়াই
দূরে বহুদূরে পথ থেকে ছিটকে পড়ে আমার শৈশব ।।
পথের উপর দাঁড়িয়ে এখনো
মৃত দ্রাবিড় সভ্যতা
কবরের মাটিতে চাপা পড়ে দ্রাবিড় শিশুদের লাশ
বৃদ্ধ যিশু এখনো আগলে রাখেন কবর। সভ্যতার ধ্বংসস্তুপ।
আমরাও হারিয়ে যাচ্ছি কালের ছায়ায়
আমরাও একদিন কবর হবো
হবো লাশ
নয়া সভ্যতার শূন্যাঙ্কে হাতড়াই জীবন হাতে ঠেকে অথৈ অন্ধকার।
পোয়াতি গর্ভে নিকষ আঁধার
মহাশূন্যের ব্যারিকেড
আমরা আজন্ম ছুটছি আলোর পেছনে
তবু অন্ধকার নেমে আসে আমাদের বেআব্রু ক্ষরণ সহবাসে।
কাফন উড়ছে
বৃষ্টিস্নাত মায়াবী রাত
স্মৃতিরা ফিরে আসে নির্জন সান্ধ্য উঠোনে
শিউলি ঝরার সুবাস
শাদা ভাতের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে সারা পৃথিবীময় ।।
মহামারির অশনি সংকেত
মৃত্যু গুণছে মৃত্যুর ছায়া
বিবর্ণ পাঠশালায় জেগে ওঠে নিশুতি রাত
খাদানে মৃত সূর্য
চেতনার স্থাপত্যে প্রতিদিন আঁকড়ে ধরছি দেবতার বিনম্র পা ।।
নৌকো ডুবছে
ডুবে যাচ্ছে রঙিন হরতনে নির্মিত আমাদের সাজানো মহাদেশ
ধূ ধূ কথার চুপকথা
ধূ ধূ কথার নীচে জীর্ণ স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে যেনো বিক্ষুব্ধ প্রান্তর ।।
তুমি আমি হাতের উপর হাত রেখেছি
কাফন উড়ছে
আমরা ভেসে যাচ্ছি সেই কাফনের নীরব মায়ায় ।।