কুশল মৈত্রের কবিতা

কুশল মৈত্রের কবিতা

প্রতীক্ষিত মন

ট্রানজিস্টার মন সহজ পাতাগুলিকে
কেমন ওলটপালট করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত
একটা সময়ের মেরুরেখা ভারবহ হয়ে উঠছে ক্রমশ।
ভিতরের ক্ষীণ আয়ু নিঃশ্বাসের জীবন
দমকা হাওয়ার স্রোতে হৃদ্স্পন্দন
মরীচিকাময় খেয়ায় পারাপারে রয়েছি শব হয়ে।

একা! শুধু একা! নৈসর্গিক ভালোবাসা
মুছে দিয়ে গেছে জীবনকে
চশমায় ঝাপসা হয়ে আসে অতীত ও বর্তমান
অবসাদ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে
নিঃশ্বাসে সান্ত্বনা ভবিষ্যৎ দোদুল্যমান
সময়ের অবয়বে ভাসিয়ে দিয়েছি নিজেকে
মৃত্যুর কাছে তাই নতজানু হয়ে
আমন্ত্রণ সাড়া দেবে নশ্বর দেহ ধূলি ভরা মন
শেষ পেরেক পোঁতা হয়ে গেছে এখন
স্বর্গরথ দাঁড়িয়ে আছে প্রতীক্ষায়
রাস্তার পরপারে…

অস্তিত্ব

শীতঘুমে আর্তনাদ হানা দেয়
অপরাজেয় আর্জিগুলি বৃত্তবলয়ে
শতাব্দির প্রাচীর ভাঙছে উত্তাল ঢেউ
স্বপ্নের ক্ষরণে জেগে থাকে অন্ধকার
দুঃস্বপ্ন মিলিয়ে যায় সম্মুখে বেড়াজাল
সূচনাংশে সমাপ্তি ঘোষণা
অস্তিত্ব কাঁদায় মানুষ যে আমরা়…
নিরাপদ ব্যস্ততায় হাত বাড়ায় ওরা।

অনুধাবন

কেমন মিলিয়ে যায় শরীর
মেলায় না ব্যঞ্জনধ্বনি
শব্দের কি জাত আছে কোনো
দুভাগ কেন তবে সম্ভোগে নারী!

টানাপোড়েনের উলটপুরাণ দূরত্ব কতটুকু
সোহাগী দুঃখগুলো চেনা অলিগলি
ধোঁয়াশায় আবছা রাতের প্রহর
জেগে থাকে পেঁচা আর রাতের শহরখানি।

অন্ধকার ছুঁয়ে গেছে উলঙ্গ শরীর জোনাকিতে
শুধু নিস্তব্ধ শহর অহংবোধে জেগে আছে রজনীগন্ধায়
নীলের উজ্জ্বলতা বেশী, চুড়ির লাল স্পন্দন ঝরনায়
ছুঁয়েছে কল্পকাহিনি শোনা যায় ইঙ্গিত কবিতায়—

নিজস্ব বাচনভঙ্গি পূর্ণতায় জলজ সাবলীল,
অনুমানে আরশিনগরখানি জেগে রয় নিরন্তর।