গৌরাঙ্গ মোহান্ত’র কবিতা

পিঙ্গল প্রজ্ঞা
প্রসডির ভেতর মেরুর উদ্ভাসন লক্ষ করে মাথায় কুঞ্চিতচুড়ো মুকুট ধারণ করেন পিঙ্গল। অরণ্যের মধুচক্র ও সূর্যমুখী তার কাছে উন্মোচন করেছিলো আঙ্কিক স্থাপত্যের কৃৎকৌশল। তাঁর ধ্বনিচেতনার ভেতর ব্রাউন স্বাক্ষর ছুঁয়ে দেখতে সংকুচিত হন নি ফিবোনাচ্চি। ইতালির গণিতজ্ঞ একদিন আল্পস পর্বতমালায় হিমালয়ের রূপান্তরিত শিলা আবিষ্কার করেন; এ বর্ণময় শিলা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির স্রষ্টা হিসেবে পিঙ্গলের নাম প্রচার করে। ব্রাউন প্রজ্ঞার কাছে ফিবোনাচ্চি অনুক্রম ছিলো পরিজ্ঞাত বিষয়।
পিঙ্গলের শৃঙ্গময় ভূভাগ
প্রস্তরে উৎকীর্ণ ব্রাহ্মী-খরোষ্ঠী বর্ণমালা থেকে এক ঝাঁক মৌর্য কপোত উড়াল দিয়ে আকাশে যখন অনিঃশেষ বৃত্তের শুভ্রতা লেপে দিচ্ছিলো তখন ব্রাউন ছান্দসিক সিলেবল দিয়ে ত্রিভুজ নির্মাণে তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রতিটি ত্রিভুজের ভেতর উন্মেষিত হতে থাকে পর্বতদৃশ্য। ফলত প্যাসকেলের ত্রিভুজে জ্যামিতিক সৌষ্ঠবের অভিনবত্ব দৃশ্যমান নয়। প্যাসকেলের ত্রিভুজ মেপে চলে পিঙ্গলের শৃঙ্গময় ভূভাগ।
পিঙ্গলের অলক্ষ্য শক্তি
পিঙ্গলের পাথর-মূর্তি থেকে উদ্গত অলক্ষ্য শক্তি আরব সাগরের স্বপ্নতরঙ্গশীর্ষ থেকে নিম্নতম বিন্দু পর্যন্ত সঞ্চারিত হচ্ছে। ল্যাপটপের স্ক্রিনে এ দৃশ্য দেখার সাথে সাথে বাইনারি সংখ্যার পিঙ্গ গতি শরীরে এঁকে দিচ্ছে সহস্র চক্ষু; ছন্দ বিশ্লেষণের সূত্র ধরে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আলোক-সৌকর্যের ভেতর ঢুকে গিয়েছি। সোফিয়ার শিরশ্ছেদ আর ক্রন্দনশীল মাধবকুণ্ডকে ডেকে আনবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনুবর্তিত হলে মার্লোর বিরুদ্ধে উলঙ্গ অরণ্যবাসী রণমত্ত হয়ে উঠতো না, তাদের সড়কির ফলায় বয়ে যেতো না কৃষ্ণ কাঁড়ারির রক্তস্রোত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গ্রহের সংস্কৃতির ভেতর ছড়িয়ে দিচ্ছে ব্রাউন আলো।