কাঞ্চন রায়েরকবিতা

কাঞ্চন রায়েরকবিতা

পরিযায়ী

দেখো ওরা পায়ে হেঁটে ফিরছে !
অদ্ভুত সাহস ওদের, আর
বলিহারি ওদের আসকারা !
হিমাচল থেকে পাটনা
ওরা নাকি পায়ে হেঁটে ফিরবে ।
রাষ্ট্র তখন বিমানের জ্বালানি নিয়েই ব্যস্ত ।
বাস ট্রেনেই তো শুধু করোনা হয়, তাই
ছোট্ট কুকুরছানাটিও ফিরলো আকাশ পথে ।
আর খালি পায়ে, কচুবন ঠেলে
ওরা নাকি তখনও খালি হাঁটছে !
এ দায় কার ? “মানবিকতা ঢেউ” যখন
আছড়ে পড়েছিল সবার উঠানে—
রাস্তার কুকুর গুলিও শোয়নি খালি পেটে । তবে ওরা হয়তো হবে, আরো বেশি নীচে !
বুদ্ধিজীবীরা নাম দিয়েছে “পরিযায়ী শ্রমিক” ।
তাই তো কোলের খোকা কোলে তুলে
ওরা হাঁটছে, হিমাচল থেকে পাটনা ।
ওরা কি সত্যিই ফিরতে চায় ?
নাকি জীবন নামক পথ চলাটিকে আজ,
পায়ে হেঁটেই শেষ করার বাজি ধরেছে ।। ওরা…

ফিরলে ফিরো, মেঘের মত

কি করে আজ বোঝাই তোমায় বলো,
বলার মত আর যে কিছুই নেই।
চাইলে তুমি হারিয়ে যেতেই পারো,
ফিরিয়ে আনার, আমারও যে দায় নেই।
এখন আমি অনেক ধনী আবার—
অনেক সময়, অনেক আকাশ হাতে।
তুমি খামখেয়ালীর বৃষ্টি হবে? হয়ো—
মিশলে মিশো খালবিল নদী-ঠেউ এ!
যদি ফিরে আসো, নেব মেঘের মত বুকে।
কুড়িয়ে নেবার আমারও যে দায় নেই!

অন্ধকার বিলাসিনী

আমি মার্কসবাদী নই,
বিপ্লব শিখিনি ।
একদিনের প্রতিবাদে নেমে,
খাইনি ঠ্যাঙ্গানিও কখনো ।
আমি নারীবাদী নই,
মধ্যবিত্ত নারী—
হাজার বছরের একঘেয়েমিতে
বাধ্যতামূলক রস খুঁজে পাওয়া —
“অন্ধকার বিলাসিনী” !