গল্পঃ রূপান্তর

রূপান্তর
শামীমা সুলতানা
আমার ছিল অমলের মতো মন।
ঠিক ঠিক অমলের মতোই।
রবি ঠাকুরের সেই যে অমল।যার ইচ্ছে ছিল দইয়ের ভাঁড় নিয়ে গ্রামের মেঠোপথে বেড়াবে। স্বপ্ন দেখতো মুক্ত আকাশের নীচে সুরেলা কণ্ঠে — দই নেবেন দই, ভালো দই, দ-ই, দ-ই বলতে বলতে ছুটে চলবে।
ভাঁড়ে করে বইবার মতোই ইচ্ছেগুলো আমার কাঁধেও সাওয়ার হতো হররোজ।
প্রায় সময়ই গালে হাত দিয়ে আকাশ কুসুম স্বপ্নে ডুব দিতাম। মেঘের বুকে এঁকে দিতাম আস্ত এক কল্পলোক।আরও কতো কতো। নাইবা বলি–
ইচ্ছেগুলো গুনে দেখলে ডজন খানেক হবেই হয়তো। তবে তীব্র আকাংখাটা জন্মে আমার যখন সময় কাটে বিদ্যালয়ের বই খাতায়। মিষ্টি হাসির একটা মুখ।যার রসালো আবৃত্তিতে আর হাঁটা-চলা,পোশাক সবকিছুই ভালোবাসার জলছাপে আঁকা আছে গহীন আলোর ক্যানভাসে।যার জীবন দর্শন ছিল আধুনিক আর রুচিশীলতার রিবনে বাঁধা ।
সে আমার প্রথম প্রেমের সূচনালগ্ন।
তাকে আমি অনুকরণীয় মডেল করে মনের মঞ্চে আসন পেতে বসিয়েছিলাম।
তাঁর হাঁটার স্টাইল কোমর দুলিয়ে পথচলা সব কিছুই বর্ণমালার মতোই ঝরঝরে মুখস্ত।
তিনি আমার আদর্শলিপির প্রথম চটিখাতা।
হেমন্তের হিমেল হাওয়ার প্রথম শিহরণ।
আমরা একদল কিশোর-কিশোরী স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাঁর পিছু পিছু হাঁটতাম। হ্যামিলিনের বাঁশি হাতে হেঁটে যেতেন তিনি। সে এক জাদুর টান। চলতিপথে গুছিয়ে গল্প বলতেন।গল্প বলতেন শুদ্ধ বাংলায় আর তাঁর বাচনভঙ্গিটা ছিল ছন্দে দোলানো রিনিঝিনি সুর।
দিনগুলো ছিল বৈচিত্র্যময়। প্রতিটি দিন আজও স্মৃতিপটে জ্বলজ্বলে জ্বলছে। আমাদের রোজনামচা রূপালি হরফে হলফনামায় আঁকা আছে সব।
সবুজমনে জলপাই রঙের স্বপ্নগুলো লালন করেছি বহুদিন ।আকাশের উড়ন্ত ঘুড়ি,বর্নচোরা মেঘ, প্রজাপতির রঙিন ডানায় মেলে দেয়া সহস্র স্বপ্ন আমাকে বিভোর করে রাখতো।
আমি স্বপ্ন দেখতাম ঠিক তাঁর মতো কালোবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে শাসনের ভঙ্গিতে বলবো– ছেলে মেয়েরা, তোমরা হোমওয়ার্ক করেছো? খাতা দাও। বই বের কর।
ডান হাতে বেত বাম হাতে বাংলা বই।দরাজ গলায় পাঠ করছি হেঁটে হেঁটে আর বেত ঝাঁকিয়ে মৃদু শাসন।হেসে হেসে দুষ্টু শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেবো কান মলিয়ে।
আমার ঢেউ তোলা লম্বা চুল কোমর ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়বে হাঁটু বরাবর। প্রিন্টের পরিপাটি সুতি শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে আমার ব্যক্তিত্ব ছুঁয়ে ছুঁয়ে কণ্ঠে এসে মুক্তোর মতন ঝরতে থাকবে। পাঠ মুগ্ধ পুরোক্লাস তন্ময় হয়ে আকণ্ঠ ডুবিয়ে পান করবে বিদ্যার রস।
প্রায়শই গালে হাত দিয়ে বেঞ্চে বসেই দিবা স্বপ্নে বিভোর হতাম।
এই কল্পিত ক্যানভাস আমার স্বপ্ন আমার ডুবুরী মনে ডুবিয়ে রাখা গোপন সুখ।
শৈশব থেকেই আমি ছিলাম আনমনা।
পরিযায়ী পাখিদের মতোই প্রয়োজন কিংবা প্রিয়জন স্মরণ করে মাঝে মাঝেই আমি গ্রামে ফিরি। গ্রামীণ জনপদের ধুলোমাখা আবেগের চাদর জড়ানো জীবন।
পথে প্রান্তরে খুঁজে ফিরি সুবর্ণ অতীত। খুঁজে ফিরি পুরনো কলকাকলি।সবুজ শষ্যের মাঠে ফিসফিসিয়ে জানতে চাই কুশলাদি।আনমনে আবেশিত হই তাদের ভালোবাসায়।
বাস্তব ছেড়ে পরাবাস্তব জগতে নিমজ্জিত হই। ভুলে যাই বর্তমান ভুলে যাই ভবিষ্যৎ।এ আমার পাগলামিও বলা চলে।
স্বপ্নবেষ্টিত আবেগি আঁখিতে যা দেখি তাই ভালো লাগে —
বর্তমান ভুলে মায়ামোহে জড়িয়ে যাই প্রাক্তন জীবনে।
এমনই এক শিশিরসিক্ত শীতকাল
গ্রামের পথে হাঁটছি । পেছন থেকে মনে হল কেউ আমাকে ডাকছে।ভাবনায় আচ্ছন্ন চোখ তুলে পিছনে তাকাই।স্পষ্ট শুনতে পাই আমার নাম। কেউ আমাকে ডাকছে নাম ধরে। পেছনে তাকিয়ে দেখতে পাই বোরখায় মোড়ানো এক ভদ্রমহিলা।
বোরখায় মোড়ানো নারী আমার পুরোপুরি অচেনা।
আমার স্মৃতিময় চারণভুমিতে আছে সেই সব নারী যারা এক আজলা শাড়িতেই লজ্জা নিবারনে ছিল সুকৌশলী।ছিলনা ব্লাউজ কিংবা বাহারি পেটিকোট।শাড়িতেই সুন্দরী সুশ্রী- ছিলেন তারা।
সেইসব সরলজীবনে পুরুষের পাশবিক নজর ছিলনা।তাই নারী অঙ্গকে সাত পর্দায় ঢেকে রাখবার প্রয়োজনও ছিল না।
শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের ভুল ভেবে পথ হাঁটি আবিষ্ট চিত্তে।
নাহ, আবারও সেই ডাক ।দাঁড়িয়ে পেছনে তাকাতেই আমাকে জড়িয়ে ধরেন অচেনা নারী। ভালোবাসার অতি চেনা ওম পাই তার শরীরে। পাখির পালকে ছাওয়া বুকে প্রশান্তি খুঁজে পাই। মুখের আস্তরণে বন্দী ঐ চেহারা দেখি নাই তখনো।
মুখের নেকাপ খুলে আমাদের পাড়ার সত্তরোর্ধ বয়সী বুড়ির মতো থক কর একদলা লালচে পিক ফেললেন।
হেসে বললেন– কিরে আমায় চিনস নাই?
ঠোঁটের কোণায় লালচে পিক। ঘৃণায় গা গুলিয়ে আসবার কথা।গল্পে পড়া ডাইনী বুড়ির মুখ ভেসে ওঠে চোখের সামনে।অপরিচ্ছন্ন অগোছালো এক নারী।
পান খাওয়া কালচে লাল দাঁত, ঠোঁট দুটো বিশ্রী রকম এবড়োথেবড়ো।যেন যমুনার পাড় ভাঙ্গাা পথ।দুই গালে মেস্তার কড়া কালো দাগ।মোটা ভ্রূযুগলে বিস্তর আগাছা। নাকের ডগায় বেমানান সাদা পাথরের বড়সড় নাকফুল। কাঁচাপাকা চুলগুলো বেরিয়ে পড়েছে হেজাবের ফাঁক গলে।একজোড়া রাবারের চটিজুতা। গোড়ালি খড়খড়ে চৈত্রের চিড় ধরা যমিন।
আমার ভ্যাবাচ্যাকা ভাব দেখে তিনি বুঝলেন আমার ভাবলেশহীন অন্তরের কথা ।
অপ্রস্তত হলেন তিনি।
খানিকটা বিব্রত।
দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লেন।
তারপর স্বাভাবিক।
যেন পৃথিবীর সব কিছু ঠিকঠাক।
কোন অসঙ্গতি কিংবা হিসেবের গরমিল নেই।
স্বহাস্যে বললেন– আররে আমি তোদের রোকেয়া ম্যাডাম! এক সময় আমার ন্যাওটা ছিলি। এখনই ভুলে গেলি?
রোকেয়া ম্যাডাম!!
করুণ আর্তনাদে মুখ থেকে নামটা ঠিকরে বেরিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে অতি তাচ্ছিল্যে রাস্তার ধুলায় মিশে গেলো।
বিস্ময়ভরা চোখে আমি পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিচ্ছি বারবার। নিজের মনকে প্রশ্ন করি–কী বলেন মহিলা?ইনি আমার রোকেয়া ম্যাডাম?
চেনা মানুষগুলোর চেনা চিত্র আর চেনা চরিত্রের মূলৎপাটন মেনে নিতে পারিনা। নিজের বিশ্বাসে অনাস্থা বাড়ে।এবড্ড যাতনার কষ্টের।
কুশলাদি বিনিময় শেষে দ্রুত পা চালিয়ে বাড়িতে ফিরি।কারণ আমি নিজের কাছে নিজেই অপমানিত অপদস্ত।
ম্যাডামের সহপাঠী মারিয়া ম্যাডাম ছিলেন আমাদের প্রতিবেশী। আমি দুঃখিত গলায় তার কাছে সব খুলে বলি।জানতে চাই তাঁর পরিবর্তনের প্যাঁচালি।ডুবুরি মনে শতেক প্রশ্ন কিলবিল করছিল।একে একে জানতে চাই।
তিনি যে ভাষায় বললেন সেই ভাষা প্রকাশ করা অশোভন।
রোকেয়া ম্যাডামের চরিত্রের কুলখানি করলেন বহুক্ষণ।তাঁর চরিত্রকে চিতায় জ্বালালেন অন্তরের সব হিংসার কাঠখড়িতে।সেই চিতায় ধূপ গন্দব আর কেরোসিন নয়, দিলেন অশ্রাব্য অশালীন শব্দগুচ্ছ। যা গ্রামীণ নারীকে পতিত করতেই ব্যবহৃত হয়।
মারিয়া ম্যাডামের হিংসার জ্বালামুখ থেকে সত্য কথা উদঘাটন করতে অশ্রাব্য কালিমাখা অংশ ধুয়েমুছে যা পাই তার সারমর্ম এমন—
যৌবনের ঊষালগ্নে ম্যাডামের প্রেমিক পুরুষ ছিলেন রফিক। আবেগের টগবগে সময় কাটিয়েছেন তার সাথে।যার অন্তরে আগরবাতির সুবাস জ্বালিয়েছিলেন এক সময়।যাকে পাওয়ার আশায় সুপাত্রের পানীয় গ্রহণ করেন নাই। রফিকই তার একমাত্র প্রেম।তাকেই স্বামীরূপে গ্রহণ করবেন।এটাই ছিল কামনা। অদম্য প্রত্যয়ে অপেক্ষায় কাটিয়েছেন দীর্ঘপথ।অথচ সেই কাঙ্ক্ষিত প্রেমিক স্বপদে প্রতিষ্ঠিত হয়েই অন্য কারো সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসার প্রস্ততি নেন।
সেদিন ছিল রফিকের বিয়ের পুর্ব রাত
লোকালয়পুর্ণ লগ্ন।
বাড়িতে হইহই হইচই।
বর তাঁর বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ আড্ডায় মগ্ন।
সেই লগ্নে বরের ঘরে হাজির হন রোকেয়া আপা।
বাকিটা ইতিহাস।
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় ম্যাডামকে।কুলাঙ্গিনী অপবাদ দিয়ে বাবা-মায়ের মঞ্জিলে ফেরত পাঠানো হয়। রফিক স্বগর্ভে নাকচ করেন প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কের কথা।
মুরুব্বিদের নাক কাটা কুলাঙ্গার নারী তিনি। বিবাহের সুপাত্রী ভাবে না এই সমাজ।তাই তিনি বাবা ভাইয়ের ঘরের মূল থাম হয়েই কাটাতে থাকেন জীবনের দীর্ঘ সময়।
রোকেয়া আপা স্কুলের আদর্শ শিক্ষিকা হতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।অতীতকে অতলে ডুবিয়ে রাখেন কাজের ব্যস্ততায়।যখনই অতীত ফিরতে চাইতো তিনি রসালো গালগল্পে ভাসিয়ে দিতেন অতীত।নতুন জোয়ারের জলে অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী কিলবিলিয়ে আনন্দে সাঁতার কেটে বেড়াতো তাঁর ভালোবাসার সমুদ্র জলে।
আমরাও সেই সরোবরের গর্বিত শিক্ষার্থী।
ছাত্রীরা তাঁর সেই অপবাদমাখা জীবন জানে না।আদর্শের আস্তরণে অপবাদ ঢাকা পড়েছে চাপা পড়েছে কুলাঙ্গার অতীত। গ্রামের বহু মুরুব্বী তাঁকে এখন শিক্ষকের সম্মান দেয়।
ম্যাডামের বয়স তখন তিরিশের ধাপে।সিঁড়ির ধাপ পেরোতে পেরোতে কখন যে তিরিশ এলো তিনিও বোঝেননি।
নিজেকে নারী না ভেবে মানুষ ভাবতে শিখেছেন।বিয়ে নিয়ে ভাবনা মাথায়ই আসেনি। কিন্তু অভিভাবকদের মগজে বিষফোঁড়া হয়ে আছেন তিনি। সেই ফোঁড়াকে তো নামাতে হবেই।
সমাজ সংসারের অপমৃত্যু ঠেকাতে তাঁকেও রাজি হতে হবে।
শহরে চাকরীরত এক সুপাত্রের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয় অতি সংগোপনে। সংকীর্ণ মানসিকতার মানুষদের সমালোচনা এড়াতে বিয়ের আয়োজনটা সারতে হয় দ্রুত।
তারপর—
স্কুল সংসার স্বামী।
সব মিলিয়েই ভালোই চলছিল তাঁর। শহুরে স্বামী মাঝে মাঝেই গ্রামে আসেন।ম্যাডামও ছুটি পেলে চলে যান স্বামীর কাছে।
আপা স্কুল স্বামী নিয়ে প্রফুল্ল থাকেন।কষ্টগুলো বুকে পোষেন পিঞ্জরে রাখা পাখির মতো। নতুন করে ভালবাসতে চেষ্টা করেন। ভালোবাসেন স্বামীকে, ভালোবাসেন নিজেকে।
ভালোবাসার বাড়াবাড়িতে আবার ভুল করেন।
অতীতের অপমানিত প্রেম কাহিনী খুলে বলেন প্রেমাস্পদ স্বামীকে।
এরপর যাতনার দ্বিতীয় অধ্যায়
ম্যাডামকে চাকরী থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন। শহরে নিজের কাছে নিয়ে যান।বন্দী করেন চারদেয়ালের কারাবাসে। স্বামী অফিসে যাবার আগে দরজায় লক করেন প্রতিদিন।
কুলাঙ্গার নারীর কর্মফল এমনই হবার কথা ।
তাঁকে মুক্ত রাখা বিপদ।
কখন আবার কার সাথে লটর পটর প্রেমে জড়ান।এটা ম্যাডামের স্বামীর চিন্তা।
কথায় কথায় অত্যাচার করেন তাঁকে —-
সইতে সইতে সহনীয় হয়ে যায় সব। কংক্রিটে ক্রমশ ক্রন্দন চাপা পড়ে।রাজা বাদশার বিনোদন নর্তকীরা আজও নাকি আর্তনাদ করে গোপন কুঠুরিতে। কিন্তু ম্যাডাম চুপসে যান বেলুনের মতো।কুঁচকে যাওয়া খেলনা বল এখন।স্বামীর মুঠোয় মায়া চষেন।
মেয়েদের অভিযোজন ক্ষমতা অতুলনীয়।
কুকুর বেড়ালের মতন জীবনকেও ভাগ্য লেখন ভাবতে শেখে।বঞ্চিত জীবনকেই জড়িয়ে নেয় লেপ কম্বলের মতো।
বন্ধুর পথ তিমির রাত এমনকি বন জঙ্গল– সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ঠিক উৎরে যায়। যন্ত্রনার জ্বালামুখও এক সময় শীতল হয়।ভাগ্য বিধাতার অভিধান ভেবে মেনে নেয় সব।
যাপিত জীবন অভিনব জটিল মানচিত্রে আঁকা।
আমার রোকেয়া আপার জীবনও চলে যেতে থাকে প্রবহমান গতির গন্তব্য পথে।
ভালোবাসায় ভাসতে থাকা সহবাস না হোক স্বামীর নিত্য শয্যাসঙ্গী,দুই সন্তানের গর্বিত জননী।
শাসনের বেড়ি পরে রোকেয়া আপার পরিপাটি ক্যানভাস বদলে যায়। রুচিশীল চালচিত্র মুড়িয়ে নেন খোলসের খাঁচায়। বিষন্নতা এড়াতে আসক্ত হন পান জর্দায়। পরাধীনতার ঢিবিটা নাকে এঁকে দেন বেঢোপ নাকফুলে।আরশির স্বচ্চ আলোকে ঢেকে রাখেন কালো পর্দায়। হাঁটুতে পরা কুঞ্চিত কেশ উড়ে যায় মুক্ত হাওয়ায়। সাদা কালো পুরনো ফ্রেমে বন্দী করে নিজেকে।
রূপান্তরিত রূপরেখায় রোকেয়া আপা কেবল ধূসর ধোঁয়াশা জীবন চষে।